কেনাকাটা হোক বা অর্থ লেনদেন— ডিজিটাল মাধ্যমে QR কোডের ব্যবহার করে অর্থপ্রদানের পদ্ধতিকে অনেক সহজ করে তোলে।
তবে বহু বছর আগে থেকেই প্যাকেটজাত দ্রব্য এবং ওয়েবসাইটে QR কোডের দেখা মিলত। কিন্তু কী এই QR কোড? কেন তৈরি করা হয় এ জাতীয় সাঙ্কেতিক ব্যবস্থা? বা এর মানেই কী? দৈনন্দিন জীবনে এর গুরুত্বই বা কতখানি?
advertisement
আরও পড়ুন- সিক্রেট বাটন! Google Pixel 6A-র বিশেষ এই ফিচার কোন কাজে আসে, জেনে নিন
দেখে নেওয়া যাক বিস্তারিত ভাবে।
QR কোড কী?
QR কোডের অর্থ হল— ক্যুইক রেসপন্স কোড (Quick Response Code)। নাম থেকেই বোঝা যায় যে QR কোড আসলে খুব দ্রুত কাজ করতে পারে। QR কোডের চেহারায় থাকে একটি বর্গাকার বাক্সের আকার। যাতে, URL এবং মোবাইল নম্বর লুকানো থাকে।
এমন ‘প্যাটার্ন’ (Pattern)-এ তা বিন্যস্ত থাকে, যাতে এটির মধ্যে কোন নম্বর বা ওয়েবসাইটের ঠিকানা লুকিয়ে আছে কিনা তা খালি চোখে দেখে বোঝা না যায়। বর্তমানে এই ব্যবস্থা ব্যবহার করছে সারা বিশ্ব।
QR কোড কোথায় ব্যবহার করা হয়?
ব্যক্তিগত ব্যবহারের পরিসরে এই বিশেষ সাঙ্কেতিক ব্যবস্থার প্রয়োগ আমরা দেখতে পাই কেনাকাটা বা যে কোনও রেস্তোরাঁয়। খুব সহজেই QR কোড স্ক্যান করে অর্থ লেনদেন করা যায়।
নগদ পরিবহণের ঝক্কি যেমন কমায়, তেমনই সময়ও কম লাগে। পাশাপাশি কাগজি নোটের ব্যবহারও সীমায়িত করা সম্ভব। শুধুমাত্র মোবাইল ফোনের সাহায্যেই সেরে ফেলা যায় যে কোনও লেনদেন।
তবে শুধু অর্থ লেনদেন নয়। QR কোড তথ্য পরিবহণেও ব্যবহার করা যেতে পারে। আজকাল প্রতিটি পণ্যের একটি QR কোড দেওয়া থাকে। এটি স্ক্যান করে সহজেই যে কোনও পণ্য সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জেনে নেওয়া যায়। QR কোড ব্যবসার ক্ষেত্রেও খুব সহায়ক।
এটিকে একটি ব্যবসায়িক কার্ড হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও, QR কোড যে কোনও পণ্যের প্রচারের কাজেও ব্যবহার করা হয়।
শুধু তাই নয়, যে কোনও ওয়েবসাইটে লগ-ইন করতেও ব্যক্তিগত QR কোড ব্যবহার করা যেতে পারে। তাতে সময় বাঁচে। বার বার লগ-ইন করার জন্য পাসওয়ার্ড দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
অনেকে পাসওয়ার্ড ভুলেও যান, সে ক্ষেত্রে একটা বড় সমাধান করে দিতে পারে এই বিশেষ সাঙ্কেতিক ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন- ১৫০ ওয়াট চার্জিং, শক্তিশালী প্রসেসর-সহ লঞ্চ হল OnePlus 10T 5G, জেনে নিন দাম
আবার QR কোডের মধ্যে ছবি সংরক্ষণ করেও রাখা যেতে পারে। যাতে এটি পরে ব্যবহার করা যায়। ‘হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব’ (Whatsapp Web) QR কোডের সাহায্যেই চালানো হয়। ভেবে দেখলেই বোঝা যাবে, কী ভাবে কাজ করে এই ‘হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব’ (Whatsapp Web)।
কী ভাবে তৈরি করা যায় নিজের QR কোড?
কেউ যদি নিজের QR কোড তৈরি করাতে চান তা হলে কোনও বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়ার দরকার হবে না। বরং ওই ব্যক্তি নিজেই নিজের স্মার্টফোন থেকে খুব সহজে তৈরি করে ফেলতে পারেন এই সাঙ্কেতিক ব্যবস্থা। এর জন্য কিছু ধাপ রয়েছে-
• যে কোনও QR Code Maker ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
• এর পরে একটি ওয়েবসাইট খুলবে যেখানে অনেকগুলি বিকল্প থাকবে যেমন- URL, ইমেজ, ভিকার্ড, ই-মেল এবং আরও অনেক কিছু।
• যদি কেউ একটি ওয়েবসাইট বা অন্য পণ্যের QR কোড তৈরি করতে চান, তা হলে তার URL লিখে দিতে পারেন।
• URL দেওয়া মাত্রই ওয়েবসাইটের QR কোড সঙ্গে সঙ্গেই প্রস্তুত হয়ে যাবে।
• এই QR কোড সংরক্ষণ করা যেতে পারে এবং পরে ব্যবহার করা যেতে পারে।
QR কোড স্ক্যান করা হয় কী ভাবে?
UPI পেমেন্টের জন্য অনেক মোবাইল অ্যাপ আছে, যেগুলি প্লে-স্টোরের (Google Play Store) মাধ্যমে ফোনে ডাউনলোড করা যায়।
অ্যাপে নাম, ফোন নম্বর, ইমেল আইডি, আধার এবং প্যান কার্ডের বিশদ বিবরণ, পিন বা পাসকোড, সেই সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং সম্পর্কিত অন্য তথ্যের মতো অনেক তথ্য দিতে হবে। এর পরে অ্যাপটি অর্থপ্রদানের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
অর্থপ্রদান করতে, অ্যাপটিতে শুরুতে পাসকোড প্রবেশ করাতে হবে। এর পরে, প্রথম নম্বরে স্ক্যান কিউআর কোডের একটি বিকল্প রয়েছে। ফোনের ক্যামেরাটি QR কোডের কাছে নিয়ে গিয়ে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে QR কোড স্ক্যানিং শুরু হয়।
