ভারতে ইলেকট্রিক ভেহিক্যালের বাজার এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ট্রাম্প সরকারের প্রসঙ্গও ওঠে। এই ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ।
তিনি বলেন, “আশা করা যায়, ট্রাম্প সরকারের সঙ্গে আমদের কাজ খুব ভাল ভাবে এগোবে।” সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশংসাও করেন তিনি। পীযূষ গোয়েল ট্রাম্পের ভুয়ষী প্রশংসা করে তিনি জানিয়েছেন “ট্রাম্প বিশ্ব শান্তি এবং আলোচনা ও কূটনীতির পক্ষে।”
advertisement
এদিন আন্তর্জাতিক ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল নির্মাতাদের ভারতে স্বাগত জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে বলেছেন “ভারতে ইভি তৈরির জন্য সমস্ত কোম্পানিকে আনন্দের সঙ্গে স্বাগত জানাচ্ছি। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা ইলন মাস্কের রয়েছে।” তাঁর ইঙ্গিত যে টেসলার দিকে সেটা স্পষ্ট।
ব্লুমবার্গের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে ইভি বিক্রি প্রতিদিন বাড়ছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং প্লাগ ইন হাইব্রিড মডেলও রয়েছে৷ ২০২৪ সালে ১৬.৭ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ১৩.৯ মিলিয়ন। তবে বৃদ্ধির হার ধীরে ধীরে কমছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি হলেও গত বছর তা ছিল ৩৩ শতাংশ। আবার ২০২২ সালে ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছিল।
পূর্ণ রূপে বৈদ্যুতিকীকরণের আগে হাইব্রিড প্রযুক্তির উপর জোর দেন পীযূষ গোয়েল। ভারতীয় কোম্পানিগুলিকে বৈদ্যুতিক যান ব্যবহারের পরামর্শও দেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল ছাড়া অন্য কিছু কেনা অর্থহীন, এটাই সঠিক সময়।”
শিল্পপতিদেরও তিনি অবিলম্বে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার শুরু করার পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ২০৩০ থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে নেট জিরো ট্রানজিশনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণই এখন পাখির চোখ কেন্দ্রীয় সরকারের।
জাপান, জার্মানির মতো দেশে বড় বড় অটোমোটিভ কোম্পানি রয়েছে। কিন্তু এই দেশগুলিতে ইলেকট্রিক ভেহিক্যালের বিক্রি দিন দিন কমছে। বিশেষ করে অগাস্ট মাসে জার্মানিতে ইভি বিক্রি প্রায় ৬১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল।
তবে হাইব্রিড ভেহিক্যাল, আরও স্পষ্ট করে বললে প্লাগ ইন হাইব্রিডের চাহিদা বাড়ছে। বিশেষ করে চিনে, ২০২৪ সালে ইলেকট্রিক ভেহিক্যালের বিক্রির একটা বড় অংশ এসেছে হাইব্রিড এবং রেঞ্জ-এক্সটেনডেড ইভি থেকে।