আজকের প্রতিবেদনে ট্রাফিক পুলিশের হাতে থাকা ৫টি অধিকারের বিষয়ে আলোচনা করে নেওয়া যাক। আসলে এই অধিকারগুলি সরকারই তাদের হাতে দিয়ে রাখে। যাঁরা গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরোন, তাঁদের ট্র্যাফিক পুলিশের এই সমস্ত অধিকার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা উচিত। আর এ নিয়ে প্রশ্ন তোলাও একেবারেই উচিত নয়।
কোন ৫টি অধিকার থাকে ট্র্যাফিক পুলিশের হাতে? গাড়ি আটকানো এবং গাড়ির নথিপত্র যাচাই করা: যে কোনও গাড়ি থামানোর অধিকার রয়েছে ট্রাফিক পুলিশের হাতে। এমনকী যে কোনও গাড়িকে ধরে চালকের কাছ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভেহিকেল রেজিস্ট্রেশন, ইনস্যুরেন্স সার্টিফিকেট এবং পলিউশন কন্ট্রোল সার্টিফিকেটও চাইতে পারে তারা।
advertisement
আর একবার ট্র্যাফিক পুলিশ এই- সমস্ত নথি চাইলে সঙ্গে সঙ্গে তা দেখিয়ে দিতে হবে। আর যদি সঙ্গে সেই নথিপত্র রাখা না থাকে, তাহলে ট্রাফিক পুলিশ জরিমানা ধার্য করতে পারে। নাহলে ওই গাড়ি বাজেয়াপ্ত পর্যন্ত করতে পারে তারা।
আরও পড়ুন- নতুন Double Date ফিচার চালু করছে ডেটিং অ্যাপ Tinder! এই ফিচারটি আসলে কী?
চালান কাটা:
যদি ট্রাফিক নিয়ম ভাঙার কারণে কেউ ধরা পড়েন, তাহলে ট্র্যাফিক পুলিশ চালান কাটতে পারে। চালানে বিশদে লেখা থাকে জরিমানার পরিমাণটা এবং পেমেন্টের তারিখ। যদি চালান পরিশোধ করা না হয়, তাহলে জরিমানার পরিমাণ বাড়তে পারে। এমনকী আইনি পদক্ষেপ পর্যন্ত গ্রহণ করা হতে পারে।
মদ্যপান অথবা মাদক সেবন করে গাড়ি চালানোর জন্য চালান: কেউ যদি মদ্যপান করে গাড়ি চালান, আর তিনি ট্র্যাফিক পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান, তাহলে তাঁকে প্রচুর জরিমানা দিতে হবে। শুধু তা-ই নয়, সেই ব্যক্তির লাইসেন্স পর্যন্ত বাতিল করা হতে পারে। প্রয়োজনে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করতে পারে ট্রাফিক পুলিশ।
গাড়ি বাজেয়াপ্ত করার পরিস্থিতি:
যদি গাড়ির চালকের কাছে গাড়ির নথিপত্র না থাকে অথবা গাড়ির কোনও সমস্যা থাকে, তাহলে ট্র্যাফিক পুলিশ তাঁর গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করতে পারে।
গ্রেফতারি:
কিছু গুরুতর অপরাধের জন্য গাড়ির চালককে গ্রেফতার পর্যন্ত করতে পারে ট্র্যাফিক পুলিশ। এর মধ্যে অন্যতম হল – বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, সাইলেন্সার থেকে অতিরিক্ত আওয়াজ বার করা, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটানো ইত্যাদি।