উইন্ডো ওয়াটার-রিপেলেন্ট কোটিং:
বর্ষায় গাড়ির দৃশ্যমানতা কমে যায়। সেই বিষয়টা প্রতিরোধ করার জন্য রেন-রিপেলেন্ট স্প্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উইন্ডশিল্ডে লাগিয়ে দেওয়া হলে তা একটি কোটিং তৈরি করে। এটি আবার জল, ধুলো-ময়লা কাঁচের উপর জমতে দেয় না। সামনের কাঁচের পাশাপাশি সাইড ও রিয়ার উইন্ডোর কাঁচ এবং বাইরের রিয়ারভিউ মিররের অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন। এর জন্য ট্রান্সপারেন্ট ওয়াটার-রিপেলেন্ট ফিল্ম ব্যবহার করতে হবে।
advertisement
রাবার ফ্লোর ম্যাট:
ফ্যান্সি কার্পেট অথবা স্যুয়েড অথবা কাস্টম-মেড ফ্লোর ম্যাটের কথা এই সময়ের জন্য ভুলে যেতে হবে। তার পরিবর্তে বরং সেই পুরনো রাবার ম্যাটের বিকল্পে ফিরে যেতে হবে। কারণ এটি পরিষ্কার করাও সহজ আর পায়ে অতিরিক্ত গ্রিপ প্রদান করে। রাবার ম্যাট দ্রুত শুকনো হয়ে যায়। ফলে কেবিনে দুর্গন্ধও হয় না। ফলে সেখানে ছত্রাক জন্মাতে পারে না। আর গাড়ির অন্দরে জমতে পারে না বাষ্পও।
সিলিকা জেল প্যাকেট:
কার্যকর অ্যান্টি-হিউমিডিফায়ার হিসেবে কাজ করে সিলিকা জেলের প্যাকেট। গাড়ির কেবিনের আর্দ্রতা শোষণ করে নেয় এটি। সেই সঙ্গে কনডেন্সেশনও প্রতিরোধ করে। ফলে জানলাগুলি ঝাপসা হয়ে যায় না। সিলিকা জেল আসলে গাড়ির ভিতরে তৈরি হওয়া আর্দ্রতা এবং দুর্গন্ধ শোষণ করে নিতে পারে।
p style=”text-align: justify;”>আরও পড়ুন- বর্ষায় AC ২২ ডিগ্রিতে চালালে কত বিদ্যুৎ খরচ হয়? ২৪ বা ২৭ ডিগ্রিতে চালালে মাসে কত বিল আসে?
মাড ফ্ল্যাপস:
গাড়ির ডিলাররা যদি ফ্রি অ্যাকসেসরি হিসেবে মাড ফ্ল্যাপস না দেন, তাহলে এটা নিয়ে অতটাও কেউ গা করেন না। এই মাড ফ্ল্যাপগুলি গাড়িকে জল, কাদা এবং ধুলোময়লার হাত থেকে রক্ষা করে। আসলে জল-কাদার কারণে গাড়ির বডি এবং আন্ডারক্যারেজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এই বিষয়টার উপর নজর না দিলে মরিচা পড়তে পারে। আর গাড়ির ক্ষয়ও হতে পারে।
রাবার পেডাল কভার:
অ্যান্টি স্লিপ গ্রিপের কারণে গাড়ি চালানোর সময় এটি নিরাপত্তা প্রদান করে। আসলে রাবার পেডাল কভার থাকলে পেডাল থেকে পা পিছলে যায় না। বর্ষার মরশুমে জুতো ভিজে থাকলে অনেক সময় গাড়ি চালানোর সময় বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে। এই কভারগুলি টেকসই। নানা ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষাও করে।