সরকার এবং সারা বিশ্বের আইন প্রণয়ন সংস্থাগুলি মানুষের অনলাইন কার্যকলাপের উপর কড়া নজর রাখে। আসলে মানুষ আইন মেনে চলছেন কি না কিংবা সোসাইটি যাতে নিরাপদ থাকে, তার জন্যই এই নজরদারি। যদিও সমস্ত ব্যবহারকারী দায়িত্বশীল হয়েই Google ব্যবহার করেন।
আরও পড়ুন- আপনার ফোন নম্বর, ই-মেল আইডি কি হ্যাকারদের কাছে নেই তো? জেনে নিন এইভাবে
advertisement
কিন্তু কৌতূহলের বশে কোনও কিছু সার্চ করতে গেলে আইনি সমস্যায় জড়িয়ে পড়তে পারেন। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে, চারটি বিষয় রয়েছে, যেগুলি এড়িয়ে চলতে হবে। সেই বিষয়েই বিশদে জেনে নেওয়া যাক।
বোমা তৈরির টিপস:
Google-এ how to make a bomb-এর মতো কি-ওয়ার্ড সার্চ করা বেশিরভাগ দেশেই গুরুতর অপরাধমূলক কাজ। এটাকে জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ধরনের কার্যকলাপ দেখলেই তৎপর হয় ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিগুলি। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় শুরু হয় তদন্ত। জেল পর্যন্ত হতে পারে।
চাইল্ড পর্নোগ্রাফি:
প্রত্যেকটি দেশেই চাইল্ড পর্নোগ্রাফি সার্চ করা কিংবা অ্যাক্সেস করা বেআইনি। এমনটা করলে মারাত্মক শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। জরিমানা এমনকী জেল পর্যন্ত হতে পারে। এই ধরনের কার্যকলাপের উপর কড়া নজর রাখে ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিগুলি।
আরও পড়ুন- ইলেকট্রিক বিল হয়ে যাবে হাফ! ৩টে অভ্যেস বদলাতে হবে মাত্র! ফেব্রুয়ারিতেই শুরু করুন
হ্যাকিং টুল এবং টিউটোরিয়াল:
যদিও এথিক্যাল হ্যাকিং আইনি পেশা। সার্টিফিকেটও মেলে। তবে হ্যাকিংয়ের টুল কিংবা কৌশল খোঁজা কিন্তু অবৈধ। তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় কিছু কিছু দেশে।
পাইরেটেড মুভি সার্চ:
পাইরেটেড ছবি দেখা কিংবা তা ডাউনলোড করাকে সহজ বলেই মনে করা হয়। কিন্তু এটা আইন-বিরুদ্ধ। এর জেরে বিপুল জরিমানা গুনতে হতে পারে কিংবা কারাদণ্ড পর্যন্ত ভুগতে হতে পারে। নির্মাতাদের অধিকার রক্ষা করার জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন করেছে বেশ কিছু দেশ।
কিন্তু ব্যবহারকারীদের অনলাইন কার্যকলাপের উপর কীভাবে নজরদারি চালায় সরকার?
বেআইনি অনলাইন কার্যকলাপের সঙ্গে যুঝতে উন্নত টুল, এআই এবং অ্যালগরিদম ব্যবহার করে সরকার। সন্দেহজনক সার্চ এবং আচরণ দ্রুত ধরার জন্য এই সিস্টেমগুলি ডিজাইন করা হয়েছে। অনলাইন প্রিভেসি রক্ষা করার জন্য রয়েছে জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন রেগুলেশন (জিডিপিআর)-এর মতো আইন। এই আইন ইন্টারনেটকে নিরাপদ জায়গা করে তোলে।