পেট্রোল, বাই-ফুয়েল (CNG + Petrol) এবং ইলেকট্রনিক ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে ACE Pro। এক্ষেত্রে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। আসলে এই গাড়ি কেনার সময় নিজেদের ব্যবসায়িক চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত পাওয়ারট্রেন বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন গ্রাহকরা। মূলত উৎপাদনশীলতা এবং মুনাফার উপর জোর দিয়েই এটি ডিজাইন করা হয়েছে। যার জেরে ACE Pro-র পেলোড ক্যাপাসিটি ৭৫০ কেজি আর এতে রয়েছে একটি ৬.৫ ফুটের লোড ডেক। ফলে কন্টেনার, মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস এবং রিফার অপারেশনের মতো একাধিক কাজের জন্য এটি উপযুক্ত।
advertisement
টাটা মোটরস কমার্শিয়াল ভেহিকেলস-এর এসসিভিপিইউ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং বিজনেস হেড পিনাকী হালদার (Pinaki Haldar, Vice President & Business Head – SCVPU, Tata Motors Commercial Vehicles) বলেন, ‘‘এই টাটা এস প্রো টি গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরণের অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। বিভিন্ন আবহাওয়া পরিস্থিতি এবং ভূখণ্ডে হাজার হাজার কিলোমিটার ধরে এটি কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। টাটা এস প্রো-এর বহু-জ্বালানি বিকল্প, সহজ সাশ্রয়ী মূল্য এবং উন্নত ড্রাইভেবিলিটির কারণে বিভিন্ন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী মূল্য প্রদান করে। এটি আমাদের পোর্টফোলিওতে একটি কৌশলগত সংযোজন যা ছোট ব্যবসা এবং উদ্যোক্তাদের নির্ভরযোগ্য, অত্যাধুনিক গতিশীলতা সমাধান প্রদানের জন্য টাটা মোটরস-এর প্রতিশ্রুতিকে শক্তিশালী করে। পশ্চিমবঙ্গের গতিশীল অর্থনীতির জন্য কম্প্যাক্ট, জ্বালানি-সাশ্রয়ী এবং দীর্ঘস্থায়ী মালবাহী সমাধানের প্রয়োজন, যা কলকাতার ব্যস্ত বাণিজ্য থেকে শুরু করে পাহাড়ি ও উপকূলীয় জেলাগুলির গ্রামীণ বাণিজ্য পর্যন্ত বিস্তৃত। ফ্লিট অপারেটর থেকে শুরু করে ছোট ব্যবসায়ী পর্যন্ত গ্রাহকরা এস প্রো লাইন থেকে উপকৃত হবেন, যা সর্বাধিক পেলোড, চার চাকার স্থিতিশীলতা, রক্ষণাবেক্ষণের সহজতা এবং ড্রাইভারের আরামের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এমনকি, কলকাতায় ইভি – নীরব, নির্গমন-মুক্তভাবে চলাচল করে, যেখানে গুদামজাতকরণ, দ্রুত চলমান ভোগ্যপণ্য এবং ই-কমার্স সরবরাহ সম্প্রসারিত হচ্ছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘দুর্গাপুর, আসানসোল এবং বাঁকুড়ার মতো কেন্দ্রীয় অঞ্চলে কৃষি-প্রক্রিয়াকরণ এবং এমএসএমই-এর প্রচলন রয়েছে, যেখানে মিনি-ট্রাক কম পরিচালন খরচে দৈনন্দিন পণ্য পরিবহণকে সাহায্য করবে। মিনি-ট্রাকগুলির তৎপরতা উত্তরবঙ্গের কালিম্পং এবং দার্জিলিং-এর পাহাড়ি অঞ্চলের জন্য একেবারে আদর্শ, যা চা এবং ফুল চাষের পরিবহণে সহায়তা করে। আমাদের সাম্প্রতিক পণ্যটি পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলীয় অঞ্চলে টেকসই কর্মক্ষমতা প্রদান করবে, যেখানে সমবায় এবং মৎস্য চাষের জন্য স্বল্প দূরত্বের যাত্রা ঠিকঠাক।”
পারফরম্যান্স ছাড়াও ACE Pro-র দুর্ধর্ষ ফিচারগুলির মধ্যে অন্যতম হল – এটি ক্র্যাশ-টেস্টেড। সেই সঙ্গে এতে রয়েছে এরগোনোমিক কেবিন, অ্যাডভান্সড Fleet Edge কানেক্টিভিটি, রিভার্স পার্কিং অ্যাসিস্ট্যান্স এবং Gear Shift Advisor। এই ফিচারগুলি গাড়ির চালকের আরামদায়ক যাত্রা এবং নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে। Tata ACE Pro-র ইলেকট্রিক ভ্যারিয়েন্টটি ১৫৫ কিলোমিটারের রেঞ্জ দিচ্ছে। যা ৩৮ বিএইচপি এবং ১০৪এনএম টর্ক উৎপাদন করে। তবে আবার পেট্রোল এবং বাই-ফুয়েল ভার্সনগুলি সর্বোত্তম শক্তি এবং জ্বালানি সাশ্রয়ের মতো সুবিধা প্রদান করে।
ডিলারশিপ অথবা Tata-র ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গ্রাহকরা এই গাড়িটি বুক করতে পারবেন। ক্যুইক অ্যাপ্রুভ্যাল এবং ফ্লেক্সিবল ইএমআই-সহ ঝঞ্ঝাটমুক্ত ফিনান্সিং পরিষেবা প্রদান করার জন্য প্রথম সারির আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে Tata Motors।
প্রায় আড়াই হাজারেরও বেশি সার্ভিস পয়েন্টস এবং ডেডিকেটেড ইভি সাপোর্ট নেটওয়ার্কের সাহায্যে Tata Motors Commercial Vehicles-এর লক্ষ্য হল – একটি নির্ঝঞ্ঝাট মালিকানার অভিজ্ঞতা প্রদান করা। সেই সঙ্গে নির্ভরযোগ্য এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত গতিশীলতার সমাধান দিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলিকে সহায়তা প্রদানেরও অঙ্গীকার করেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা।