CMG নামের একটি বেসরকারি সংস্থার পর্যালোচনা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, স্মার্টফোন, স্মার্টটিভি বা অন্য গ্যাজেটের মধ্যে থাকা ইন-বিল্ট মাইক্রোফোন ব্যবহার করে গ্রাহকের চারপাশের কথাবার্তা শুনে ফেলতে পারছে বিজ্ঞাপণদাতা এই সংস্থাটি এবং সেভাবে তথ্য সংগ্রহ করেই তারা টার্গেট তৈরি করছে। ‘অ্যাকটিভ লিসনিং’-এর মতো রিয়েল-টাইমে নিত্য কথোপকথন বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য গ্রাহকদের চিহ্নিত করতে চাইছে বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থাটি। এর আগেও এই তথ্য উঠে এসেছিলে একটি প্রতিবেদনে।
advertisement
কীভাবে ভয়েস ডেটা কাজ করে এবং কীভাবে তা নিজের ব্যবসায় ব্যবহার করা যেতে পারে, তা খোলাখুলি জানান হয়েছে। বলা হয়েছে, কেমন হবে যদি আপনি সম্ভাব্য গ্রাহকদের উপর নজর রেখে তাদের দৈনন্দিন কথোপকথন থেকে সক্রিয়ভাবে জেনে নিতে পারেন তারা কোন প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করছেন? না, এটা কোনও যাদুবিদ্যা নয়। এটা ভয়েস ডেটা। ব্যবসায়িক সুবিধার জন্য এটি ব্যবহার করার ক্ষমতা CMG-এর রয়েছে। এই অভিজ্ঞতা আমাদের সকলেরই হয়েছে কমবেশি। কেউ বুঝতে পেরেছি, কেউ পারিনি। বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করা বিষয়ও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে হয়তো ভেবেছি কাকতালীয়। কিন্তু তা নয়। তবুও এতদিন পর্যন্ত অনেকে সন্দেহ করতেন, হয়তো ফোনের মাইক্রোফোন ব্যবহার করে কথা শোনা চলছে। কিন্তু এবার এসেছে হাতেগরম প্রমাণ।
CMG-র ওয়েবসাইট অনুসারে, ‘অ্যাকটিভ লিসেনিং’ কাজে লাগিয়ে স্মার্টফোন, স্মার্ট টিভি এবং অন্য ডিভাইস থেকে প্রাসঙ্গিক কথোপকথন সনাক্ত করে, এজন্য কৃত্রিম মেধা (AI)- ও ব্যবহার করা হয়। গ্রাহকের মন পড়ে ফেলতে পারলেই সেই অনুযায়ী স্ট্রিমিং টেলিভিশন, ইউটিউব, গুগল এবং বিং-এর মাধ্যমে তার বিজ্ঞাপন দেখায়।
আরও পড়ুন: রোদে না দিয়েই ব্যবহার করছেন লেপ-কম্বল? হতে পারে ভয়ানক অসুখ! জানুন চিকিৎসকের মত
এটার মধ্যে কোনও অপরাধ রয়েছে বলেও মনে করে না CMG। সংস্থার ওয়েবসাইট বলেছে, ফোন এবং ডিভাইসগুলি থেকে গ্রাহকের কথা শোনা সম্পূর্ণ আইনি৷ কারণ সফ্টওয়্যার আপডেট বা অ্যাপ ডাউনলোডের শর্তাবলী গ্রহণ করার সময় ভোক্তারা সাধারণত সম্মতি দিয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: দিঘা-মন্দারমণি তো অনেক হল! যান ওড়িশার বাদমুলে! টেন্টে থাকুন! জঙ্গল-নদী দুটোই আছে!
এই কাণ্ড যে CMG একাই করছে এমনটা নয়। তবে আর কারা করছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাছাড়া, iPhone-এর মতো ডিভাইসে এখন ফ্রন্ট ক্যামেরার পাশে একটা ছোট সবুজ আলো ঝিলিক দেয়, যদি কোনও অ্যাপ ওই ডিভাইসের ক্যামেরা বা মাইক্রোফোন ব্যবহার করে। এই নিরাপত্তাকে ফাঁকি দিয়ে কীভাবে কাজ করে CMG-র মতো সংস্থা, এই তথ্য তারা কীভাবে কাজে লাগায়, তা এখনও কোনও ভাবেই স্পষ্ট নয়।