হাভার্ডের এক গবেষণায় উঠে এসেছে মারাত্মক তথ্য। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা আগে মোবাইল হাত থেকে সরিয়ে রাখা প্রয়োজন। না হলে কীভাবে ক্ষতি করে মোবাইলের আলো, দেখে নেওয়া যাক—
ঘুমের দেরি—
গবেষণায় যোগ দেওয়া প্রতিনিধিদের মধ্যে যাঁরা রাতে ঘুমনোর আগে ই-রিডার ব্যবহার করেন তাঁদের ঘুম আসতে অন্তত দশ মিনিট দেরি হয়, এমনই জানান হয়েছে। তাই ঘুমনোর আগে ই-রিডারের পরিবর্তে আসল বই পড়াই ভাল।
advertisement
সার্কাডিয়ান রিদমে গোলমাল—
রাতে কৃত্রিম আলোর ব্যবহার মস্তিষ্ককে বিভ্রান্ত করতে পারে। তা থেকে যাবতীয় শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় গোলমাল তৈরি হতে পারে। বিপাকক্রিয়া, ক্ষুধা থেকে শুরু করে মেজাজ— সবই পরিবর্তিত হতে পারে। তার ফলে নানা ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে, এমনকী ক্যানসারও।
মেলাটিনিন ক্ষরণে বাধা—
মেলাটিনিন এমন একটি হরমোন যা, সার্কাডিয়ান রিদম বজায় রাখে এবং গভীর ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ সহায়ক হয় এই হরমোন। শুধু মোবাইলের আলোই নয়, রাতে ঘরে বেডসাইড ল্যাম্প জ্বললেও এই হরমোন উৎপাদন ব্যাহত করে।
আরও পড়ুন: রগের উপর রগ? পায়ে ঝিঝি ধরছে? সারাদিন ক্লান্ত লাগে? তাহলে এখুনি সাবধান! জানুন
REM কমে যাবে—
REM হল ঘুমের একটি স্তর। এখানে মানুষের মস্তিষ্ক কিছু মোটর স্কিল শিখতে পারে। মোবাইলের আলোয় সেটি ব্যাহত হয়। ফলে স্মৃতিশক্তি কমে যায়। সৃজনশীলতাও কমে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: Instagram অ্যাকাউন্ট কী করে ভেরিফায়েড করবেন ! ব্লু টিক পেতে জানুন সহজ উপায়
সচেতনতার সঙ্কেত বাড়ায়—
বিছানায় শুয়ে মোবাইল ঘাঁটলে কোনও ভাবেই বিশ্রাম হয় না। বরং মোবাইলের আলো মস্তিষ্ককে আরও সজাগ হওয়ার সঙ্কেত পাঠায়। যার ফলে বিশ্রামের ঘাটতি তৈরি হয়। বই পড়লে হয় ঠিক উল্টোটা।
সকালের ক্লান্তি—
মোবাইলের নীল আলো সারারাত ক্রিয়া করে। মস্তিষ্ককে সজাগ রাখার চেষ্টা করে। ফলে সারারাত ঠিক মতো ঘুম হয় না। সকালে সেই ক্লান্তি চেপে বসে। কোনও কাজই ঠিক মতো করা যায় না।