প্রসঙ্গত, ম্যাট ক্লিফোর্ড বর্তমানে সুনক সরকারের ফাউন্ডেশন মডেল টাস্কফোর্সের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই ফাউন্ডেশন চ্যাট জিডিপি এবং গুগল বার্ডের মতো এআই ভাষার মডেল নিয়ে কাজ করছে। পাশাপাশি তিনি তিনি অ্যাডভান্সড রিসার্চ অ্যান্ড ইনভেনশন এজেন্সির (আরিয়া) চেয়ারম্যানও।
আরও পড়ুন- ডিজিটাল দুনিয়ায় ঝড় আনবে Apple-এর ‘এই’ নতুন ডিভাইস
একটি টিভি সাক্ষাৎকারে ক্লিফোর্ড বলেছেন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজিন্সের মাধ্যমে সাইবার এবং বায়োলজিক্যাল অস্ত্র তৈরি করে ফেলা অসম্ভব নয়।
advertisement
আর এমনটা হলে বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে’। সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘এআই প্রযোজকদের বিশ্বব্যাপী নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। না হলে এমন শক্তিশালী সিস্টেম তৈরি হবে যার নিয়ন্ত্রণ পেতে মানুষ নিজেদের মধ্যে লড়াই করবে’।
পাশাপাশি এআই-এর ঝুঁকি নিয়েও বিশ্ববাসীকে সতর্ক করে দিয়েছেন ম্যাট ক্লিফোর্ড। তাঁর কথায়, ‘এআই ব্যবহারের একাধিক ঝুঁকি রয়েছে। শিল্পক্ষেত্রে আমরা প্রায়শই স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকির কথা আলোচনা করি।
আরও পড়়ুন- সাবধান! Facebook-এ আসছে ‘মৃত্যুসংবাদ’, ভয়ঙ্কর প্রতারণার শিকার হতে পারেন আপনিও
মাথায় রাখতে হবে, স্বল্পমেয়াদী ঝুঁকিগুলি আসলে বেশি ভয়ঙ্কর। আজ এআই ব্যবহার করে যে কেউ রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি করে ফেলতে পারে। বা বড় আকারের সাইবার হামলা চালাতে পারে। এগুলো খারাপ জিনিস’।
এআই নিয়ে সাবধানবাণী শুনিয়ে খোলা চিঠি লিখেছেন কয়েক ডজন বিশেষজ্ঞ। তাঁদের মতে, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স মানবতাকে ধ্বংস করে দিতে পারে।
প্রযুক্তির ঝুঁকিগুলো মহামারী বা পারমাণবিক যুদ্ধের মতোই জরুরি ভিত্তিতে বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করেন তাঁরা। এই বিষয়েও একমত ক্লিফোর্ড। তাঁর কথায়, ‘আমরা যদি মানুষের থেকেও বুদ্ধিমান এমন কোনও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স তৈরির চেষ্টা করি এবং তাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় সেটা জানা না থাকে তাহলে অদূর ভবিষ্যতে মানব সমাজের জন্যে বড়সড় ঝুঁকি রয়েছে’।
শুধু তাই নয়, এআই বিশ্বের নীতিনির্ধারকদের অ্যাজেন্ডায় থাকা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।