এর কিছু দিন আগেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে সমস্ত স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং ল্যাপটপে ইউএসবি টাইপ-সি চার্জিং পোর্ট বাধ্যতামূলক করার পরে আবার এই নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।
SamMobile-এর মতে যেহেতু এই নতুন আইন সমগ্র ব্যাটারি লাইফ সাইকেলকেই প্রভাবিত করবে, তাই এই নতুন নিয়মটি ভোক্তা থেকে শুরু করে উৎপাদন সংস্থা এবং ব্যাটারি নির্মাতা সকলের ক্ষেত্রেই একটি নতুন চ্যালেঞ্জ আনতে চলেছে। ব্যাটারির উৎপাদনে বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন উপাদান, ব্যাটারির উৎপাদন প্রক্রিয়া ও ডিসপোসাল সব কিছুই প্রভাবিত হতে চলেছে। তবে এর ফলে স্মার্টফোনের দাম বাড়তে পারে কি না, সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু এখনও জানানো হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: মাত্র এক মিসড কলেই ব্যাঙ্ক থেকে উধাও ৫০ লক্ষ টাকা! কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন জানুন
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই নতুন আইনটি তাদের ডোমেস্টিক টেরিটরিতে বিক্রি হওয়া সমস্ত ধরনের ব্যাটারির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে, যার মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ব্যাটারি, অটোমেটেড ব্যাটারি, টু-হুইলার এবং ইলেকট্রিক ভেহিক্যালে ব্যবহৃত ব্যাটারি।
এছাড়াও ২০০৪ সালের গোড়ার দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যাটারি প্রস্তুতকারকদের তাদের প্রোডাক্টের মোট কার্বন ফুটপ্রিন্ট, এক্সট্রাকশন থেকে রিসাইক্লিং করা পর্যন্ত সমস্ত তথ্য রিপোর্ট করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৬ আসনের সবকটিতে জয়, পঞ্চায়েতের আগে বামেদের জয়জয়কার!
এই ডেটার সাহায্যে ব্যাটারির জন্য সর্বাধিক উৎপন্ন কার্বন-ডাই অক্সাইডের সীমা নির্ধারণ করতে ব্যবহার করা হবে, যা জুলাই, ২০২৭ থেকে কার্যকর হবে৷
ব্যাটারি উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলিকে তাদের ব্যাটারিতে ব্যবহৃত উপকরণের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে, যেমন ১৬ শতাংশ কোবাল্ট, ৮৫ শতাংশ সীসা, ৬ শতাংশ লিথিয়াম এবং ৬ শতাংশ নিকেল ইত্যাদি।
এই আইনটি অনুমোদিত হলে, আসন্ন নতুন নিয়ম নিশ্চিত করবে যে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নে বিক্রি হওয়া ব্যাটারিগুলি যাতে আরও বেশি করে পরিবেশ-বান্ধব করা যায়। আইন নির্মাতারা এবং পরিবেশবিদরা আশা করছেন যে, তাদের এই পদক্ষেপ শেষ পর্যন্ত বিশ্বের বাকি অংশের দেশের জন্য একটি নজির স্থাপন করতে সক্ষম হবে৷