তবে শুধু বলিউড নয়, আগামী দিনে হাওড়া বা মালদার কোনও কলেজ ছাত্রীরও এমন ডিপফেক ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সাধারণ মানুষ হতবাক। কী করা উচিত বুঝে উঠতে পারছেন না। সরকারও বিপদ বুঝে আটঘাট বাঁধছে। দিল্লি পুলিশ রশ্মিকার ডিপফেক ভিডিও নিয়ে এফআইআর নথিভুক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে Google Map! জেনে নিন গোপন কায়দা
advertisement
ডিপফেক ভিডিও কী: ডিপফেক হল নিউরাল নেটওয়ার্ক। সহজ করে বললে প্রোগ্রাম। কারও একাধিক ছবি এবং ভিডিও দিয়ে তার মুখের বৈশিষ্টগুলো এইআইকে বোঝানো হয়। তারপর অন্য কারও শরীরে বসিয়ে দেওয়া হয় সেই মুখ। এআই এতটাই নিখুঁতভাবে এই কাজ করে যে মুখ আর শরীর আলাদা করা যায় না।
ডিপফেক কি না বোঝার উপায়: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শারীরিক নড়াচড়ার সঙ্গে মুখের অভিব্যক্তি বা চোখের নড়াচড়ার মিল না থাকলে বুঝতে হবে এটা ডিপফেক ভিডিও। এটাই একমাত্র উপায়।
কীভাবে ইন্ডিয়া ইনকর্পোরেটেড ডিপফেক সমস্যার মোকাবিলা করবে: ইনোভা সলিউশনের প্রদীপ ইয়াদলাপতি বলছেন, ‘সনাক্তকরণ, ফরেনসিক অ্যালগরিদম, অডিটের মাধ্যমেই ডিপফেককে রুখতে হবে। সঙ্গে ডিপফেক ঝুঁকি কমাতে পারে এমন ক্ষেত্রকে বিকশিত করা দরকার’।
ইয়াদলাপতির মতে, মাল্টি-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ, জিরো-ট্রাস্ট এবং ডিপফেক সনাক্ত করতে পারে এমন সরঞ্জামগুলিতে বিনিয়োগ করতে হবে। রাখতে হবে কঠোর যাচাইকরণ প্রক্রিয়া। পাশাপাশি বৈধ নেটওয়ার্ক ব্যবহারও ইউজারদের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে’। পাশাপাশি সরকারকে এআই (জেন এআই) ব্যবহারের জন্য কঠোর নির্দেশিকা জারি করতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।
সিনারসফট টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা বিশাল প্রকাশ শাহ আবার বলছেন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের চেয়ে মানুষের তৈরি সামগ্রী ব্যবহারে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। তাঁর কথায়, ‘ইন্ডিয়া ইনকর্পোরেটেড সমস্যার গুরুত্ব বুঝেছে। তাই ডিপফেক সনাক্ত এবং মোকাবিলা করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছে’।
মিরাসিসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অরিন্দম দাস সরকার আবার কঠোর আইন আনার পক্ষে। তাঁর কথায়, ‘ডিপফেক সাইবার ক্রাইম। তাই ক্ষতিগ্রস্তদের অধিকার ও স্বার্থরক্ষার জন্য সরকারকে কঠোর আইন আনতে হবে’। তিনি বলেন, ‘আইটি আইন, কপিরাইট আইন, এবং ডেটা সুরক্ষা আইন প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে আরও কঠোর আইন আনলে ভাল হয়। অপারাধীদের শাস্তি দিতে হবে’।
