বর্তমানে অনলাইন স্ক্যাম বা পার্ট টাইম চাকরির স্ক্যাম খুব দ্রুত দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই এর ফাঁদে পড়ছেন এবং লাখ লাখ টাকা হারাচ্ছেন। জানা গিয়েছে যে এই জালিয়াতরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ করে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে চলেছে। এই জালিয়াতেরা সাধারণ মানুষকে পার্ট টাইম কাজের প্রলোভন দিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে থাকেন বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি পুনের এক ব্যক্তি এই সাইবার ক্রাইমের পাল্লায় পড়ে প্রায় ৩৬ লাখ টাকা খুইয়েছেন। পুনের টাইমস মিরর নামে একটি সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে যে, বিগত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ নভেম্বরের মধ্যে জালিয়াতরা ওই ৫৬ বছর বয়সী বিজ্ঞাপন চিত্র নির্মাতাকে ঠকিয়ে ৯৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। জানা গিয়েছে যে, ওই ব্যক্তি ব্যবধান এনডিএ রোডের রামবাগ কলোনির বাসিন্দা।
advertisement
আরও পড়ুন: একবার বসালে ফুল চার্জ না দিয়ে ফোন তোলেন না? কাজটা ঠিক হচ্ছে তো?
ওই প্রতারিত ব্যক্তির করা এফআইআর-এর ভিত্তিতে জানা গিয়েছে যে, তিনি একদিন তাঁর ফোনে একটি টেক্সট মেসেজ পান। তাঁকে একটি পার্ট টাইম চাকরির অফার দেওয়া হয়। এরপর তিনি যখন সেই নম্বরে রিপ্লাই করেন, তখন তাকে একটি চ্যাট গ্রুপে যোগ দিতে বলা হয়। এরপর তিনি সেই গ্রুপে যোগ দেওয়ার পর ধীরে ধীরে তাঁর বিশ্বাস অর্জন করার চেষ্টা চালাতে থাকে ওই জালিয়াতেয়া। তারা ওয়েলকাম বোনাস হিসেবে তাঁকে ১০ হাজার টাকাও দেয়। পাশাপাশি তাঁকে একটি ট্রাভেল এজেন্সির রেটিং এবং রিভিউ লেখার কাজ দেওয়া হয়। এর জন্য তাঁকে প্রথমে দুটো ইনস্টলমেন্টে ২১,৯৯০ টাকা দিতে বলা হয়। এরপর জালিয়াতরা তাঁকে সেই কাজের বিনিময়ে ২৪,৮০৯ টাকা ফেরত দেয়। এরপর তাঁকে এরকমই কাজের জন্য ৮০,০০০ টাকা দিতে বলা হয় এবং এর পরিবর্তে তাকে ৯৪,৮৪০ টাকা ফেরত দেওয়া হয়। এরপরই ঘটে আসল ঘটনা।
এরপর পরবর্তী কাজের জন্য প্রতারিত ব্যক্তির কাছ থেকে ১ লাখ টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু তার পরিবর্তে তাঁকে কোনও টাকা ফেরত দেওয়া হয় না। এরপর বিষয়টি জালিয়াতদের কাছে জানতে চাওয়া হলে, ওই ব্যক্তির কাছে আরও ৩৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। তাকে বলা হয় এর পরিবর্তে তাকে মোটা কমিশন সমেত সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। সেই মতো ওই ব্যক্তি সেই টাকা দিয়ে দিলে আর কোনও টাকা ফেরত পাননি। তখন ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন যে, তিনি প্রতারিত হয়েছেন এবং এরপরই তিনি সাইবার বিভাগে এফআইআর দায়ের করেন। এফআইআর দায়ের করার পরে পুলিশ তদন্ত শুরু করে দেয়। ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যাক্টের ৪১৯, ৪২০ এবং ৪৩৪ ধারায় ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের সেকশন ৬৬ ডি এবং ৬৬ সি-এর আওতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।