কনসালটেন্সি ফার্ম BCG এবং জনপ্রিয় থার্ড পার্টি UPI সার্ভিস প্রোভাইডার PhonePay তৈরি করেছে এই রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে জানানো হয়েছে ২০২১ আর্থিক বর্ষের শেষে ডিজিটাল পেমেন্ট দেশের প্রায় ৩৫ শতাংশ জনগণের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু আগামী ৫ বছরে এটি পৌঁছে যেতে পারে দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ জনগণের কাছে। কনসালটেন্সি ফার্মের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রতীক রোংতা (Prateek Roongta) জানিয়েছে যে, ডিজিটাল ট্রানজাকশন ৪০ শতাংশ থেকে পৌঁছে যেতে পারে ৬৫ শতাংশে। তিনি জানিয়েছেন যে বর্তমানে এর গ্রোথ হল ০.৩-০.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু ২০২৬ সালে এটি হতে পারে ২.৫-২.৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।
advertisement
আরও পড়ুন - এর লাভজনক অফার, একবার রিচার্জ করে সারা বছর কলিং, ডেটা ফ্রি!
আরও পড়ুন - WhatsApp দিয়ে কী ভাবে ব্যবহার করবেন Digilocker? দেখে নিন এক নজরে
কনসালটেন্সি ফার্মের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রতীক রোংতা বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি যে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমাগত হারে বেড়ে চলেছে ডিজিটাল পেমেন্টের ব্যবহার। আর্থিক বিভিন্ন লেনদেনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল পেমেন্টকে অনেকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন। এর ফলে এর ব্যবহার ধীরে ধীরে অনেকটাই বেড়েছে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন যে আগামী দিনে এই ডিজিটাল পেমেন্ট বাড়তে চলেছে টিয়ার ৩-৬ লোকেশনে। বিগত দুই বছর ধরে টিয়ার ৩-৬ শহরে ৬০ থেক ৭০ শতাংশ নতুন মোবাইল পেমেন্ট কাস্টমার বেড়েছে। এ ছাড়াও সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ডিজিটাল পেমেন্টের জনপ্রিয়তা বাড়ার আরেকটি কারণ হল বিভিন্ন ধরনের ব্যবাসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধরনের ছাড়। ডিজিটাল পেমেন্টের অ্যাপ ব্যবহার করে বিভিন্ন জিনিস কেনার ক্ষেত্রে বিভিন্নও ধরনের ছাড় পাওয়া যাচ্ছে। এর ফলে এর জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে।
একই সঙ্গে ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের অফারের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখা প্রয়োজন। কারণ নিজেদের অ্যাপ জনপ্রিয় করে তোলার জন্য বেশি মাত্রায় ছাড় দিলে ইকোসিস্টেম খারাপ হতে পারে।
