রিপোর্ট অনুযায়ী TikTok মে মাস থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী বাইটডান্স TikTok মিউজিক অ্যাপ চালু করার জন্য আমেরিকার ট্রেডমার্ক অফিসে (US Trademark Office) ট্রেডমার্ক অ্যাপ্লিকেশন জমা দিয়েছে। জানা গিয়েছে মে মাসেই TikTok মিউজিক (TikTok Music) নামে সেই ট্রেডমার্ক অ্যাপ্লিকেশন জমা দেওয়া হয়েছে।
TikTok Music অ্যাপের মাধ্যমে ইউজাররা বিভিন্ন ধরনের গান, আবহ বা যন্ত্র সঙ্গীত বাজিয়ে শুনতে পারবেন। শেয়ার করতে পারবেন, তা কিনতেও পারবেন যাতে ডাউনলোড করা যায়। শুধু তাই নয় এই অ্যাপের মাধ্যমে ইউজাররা নিজেদের মতো গান রেকর্ড বা তৈরিও করতে পারবেন। সেই রেকর্ডিং শেয়ার করা যাবে এবং অন্যদেরও ‘প্লে-লিস্ট’-এ তা রাখার অনুরোধও করতে পারবেন। এ ছাড়া থাকছে কোনও মিউজিক ট্র্যাকে কমেন্ট করার সুযোগও। এই মিউজিক অ্যাপের মাধ্যমে ইউজাররা লাইভ স্ট্রিম করতে পারবেন বিভিন্ন ধরনের অডিও এবং ভিডিও।
advertisement
আরও পড়ুন: মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের এই ৫ ট্রিক আসান করে দেবে লেখালিখি
আরও পড়ুন: ১৩টি নতুন মোবাইল প্ল্যানে বিনামূল্যে অ্যামাজন প্রাইম! দেখুন অসাধারণ এই অফার
TikTok-এর পেরেন্ট কোম্পানি বাইটডান্সের নিজস্ব একটি মিউজিক অ্যাপ রয়েছে। রেসো (Resso) নামের সেই অ্যাপ লঞ্চ করা হয়েছিল ২০২০ সালে। এই অ্যাপটি এখন ভারত, ব্রাজিল ও ইন্দোনেশিয়ায় চালু রয়েছে। এই অ্যাপেও প্রায় একই ধরনের ফিচার রয়েছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে TikTok-এর ইউজাররা বিভিন্ন ধরনের গানের সম্পূর্ণ ভার্সন শুনতে পারেন। টিকটকে যে সমস্ত শর্ট ভিডিও রয়েছে সে গুলির সম্পূর্ণ ভার্সন এই অ্যাপে শুনতে পাওয়া যাবে। কিন্তু বাইটডান্স এখন নতুন একটি মিউজিক অ্যাপ আনতে চলেছে। TikTok মিউজিক অ্যাপ আরও উন্নত এবং আধুনিক হতে চলেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী মাসে প্রায় ৪ কোটি মানুষ রেসো ব্যবহার করেন। ২০২১ সালের নভেম্বরে ভারত ব্রাজিল এবং ইন্দোনেশিয়া এক মাসে এই ইউজার হয়েছিল। যা নতুন লঞ্চ করা অ্যাপের পক্ষে খুবই ভাল একটি বিষয়। ভারতে TikTok ব্যান করে দেওয়ার পর এই অ্যাপটি খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এই অ্যাপ ৩০৪ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। অন্যদিকে ভারতের জনপ্রিয় মিউজিক অ্যাপ স্পটিফাই-এর মাত্র ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। এর থেকে পরিষ্কার যে বাইটডান্সের এই অ্যাপটি কতটা জনপ্রিয়।