NordNPN নামে একটি সংস্থা এই বিষয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, বর্তমান সময়ে প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ স্মার্ট টিভি ব্যবহার করেন। এবং ওই ব্যবহারকারীদের ৪ জনের মধ্যে ১ জন তাঁদের টিভি-কে ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার (Smart TV Hacking) থেকে বাঁচাতে কোনও পদক্ষেপ নেননি।
২০১৯ সালে একটি রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছিল, সাইবার অপরাধীরা নতুন অস্ত্র হিসেবে বেছে নিচ্ছে স্মার্ট টিভি। যার মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে তারা।
advertisement
অপরাধীরা কী ধরনের অপরাধ করতে পারে?
বিভিন্ন ভাবে স্মার্ট টিভির ক্যামেরা ও মাইক্রোফোনের দখল নিতে পারে সাইবার অপরাধীরা। সঙ্গে Wifi-ও নিজেদের দখলে নিতে পারেন। এর ফলে ঘরের যাবতীয় ছবি তুলে নিয়ে ব্ল্যাকমেল করতে পারে তারা। তবে এই সমস্যা থেকে বাঁচার কয়েকটি রাস্তাও আছে।
স্ট্রং পাসওয়ার্ড ব্যবহার
স্মার্ট টিভি যদি সর্বদা ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে তাহলে সর্বদা পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখা দরকার। এমনকী Wifi রাউটারও পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখা দরকার। সঙ্গে এটাও মাথায় রাখতে হবে কোনও সহজ পাসওয়ার্ড দিলে হবে না। কমপক্ষে ৮ ক্যারেকটারের পাসওয়ার্ড দিতে হবে।
টিভির সফটওয়্যার সব সময় আপডেট রাখতে হবে
সর্বদা টিভির সফটওয়্যার আপডেট রাখা প্রয়োজন। কারণ এতে সাইবার হামলা কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নিরাপত্তাজনিত এবং প্রযুক্তিগত কোনও সমস্যা থাকলে সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে তা সারিয়ে তোলা সম্ভব। পাশাপাশি নতুন কোনও ফিচার আপডেট হলেও তা সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে যায়। পাশাপাশি ব্যবহার না করলে স্মার্ট টিভির ক্যামেরা বন্ধ রাখতে হবে।
রাউটার সিকিওর রাখতে হবে
স্মার্ট টিভির সঙ্গে যে রাউটার ব্যবহার করা হচ্ছে তা সর্বদা সিকিওর রাখতে হবে। সেটিকে পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রোটেক্টেড রাখতে হবে।
অফিসিয়াল স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে
স্মার্ট টিভির জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অ্যাপের প্রয়োজন হয়। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে অ্যাপ ডাউনলোডের সময় যেন Google Play Store অথবা নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা হয়। কারণ অন্য জায়গা থেকে ডাউনলোড হলে সেখানে ম্যালওয়্যার ঢুকে থাকতে পারে।