আসলে যত দ্রুত গলছে পৃথিবীর বরফ তার চেয়েও দ্রুত বদলাচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির মানচিত্র। স্মার্ট পৃথিবীর জন্য একের পর এক স্মার্ট গ্যাজেট আবিষ্কার করছে মানুষ। এমনকী সে সব বৈদ্যুতীন যন্ত্র পরে ফেলা যায় রক্ত মাংসের শরীরে, সরাসরি। স্মার্ট উয়্যারেবল গ্যাজেটের দুনিয়াও গত কয়েক বছরে একেবারে বদলে গিয়েছে। স্মার্টওয়াচ, স্মার্টইয়ারবাড থেকে শুরু করে স্মার্টগ্লাস এখন হাতের মুঠোয়। মনে করা হচ্ছে আর কয়েক বছরের মধ্যেই আরও স্মার্ট হয়ে যেতে পারে চোখ। স্মার্ট চশমার বদলে আসতে পারে স্মার্ট কন্ট্যাক্ট লেন্স। বিশেষজ্ঞদের ধারণা সে ভবিষ্যতের দিকেই এগোচ্ছি আমরা।
advertisement
প্রযুক্তির দুনিয়ায় খবর, Samsung বা Google-এর মতো সংস্থাগুলিই হয়তো প্রথম এ ধরনের পণ্যের উপর আধিপত্য স্থাপন করে ফেলবে। পরে তাদের দেখে আসতে পারে অন্য অনেক কোম্পানিই। এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থাই স্মার্ট কন্ট্যাক্ট লেন্সের বিষয়ে তেমন কোনও ইঙ্গিত অবশ্য দেয়নি। কিন্তু পরিস্থিতি খুব দ্রুত বদলে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আসলে অনেক সংস্থাই গোপনে এমন সব পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আগে অনেক কিছুই দেখে নেওয়া দরকার বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্লেষকদের মতে, স্মার্ট কন্ট্যাক্টলেন্স হতে চলেছে এক দীর্ঘস্থায়ী বৈপ্লবিক পদক্ষেপ। আগামী বেশ কয়েক বছর ধরে চলবে এর নানা উদ্ভাবন।
আরও পড়ুন - এই গ্রীষ্মে গরম হয়ে যাচ্ছে সাধের স্মার্টফোন? দেখে নিন গরম থেকে ফোন বাঁচানোর ৫টি উপায়
২০১৬ সালেই Samsung প্রথম স্মার্ট কন্ট্যাক্ট লেন্সের পেটেন্টের জন্য আবেদন করে। ফলে ধরে নেওয়াই যায় যে তারা বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে রয়েছে এই বিশেষ ক্ষেত্রে। তবে পেটেন্টই তো শেষ কথা নয়। ফলে আপাতত অপেক্ষা করতেই হচ্ছে, যতদিন না Samsung এ বিষয়ে কিছু জানাচ্ছে খোলাখুলি। তা ছাড়া, প্রযুক্তির দৌড় কতদূর তাও তো দেখতে হবে।
মনে করা হচ্ছে এই স্মার্ট কন্ট্যাক্ট লেন্সই হতে চলেছে প্রযুক্তি শিল্পের ভবিষ্যৎ। ফলে, এই পণ্য কবে বাজারে আসবে সাধারণ ক্রেতার জন্য, আপাতত তার কোনও সময়সীমা অনুমান করা সম্ভব নয়। সম্প্রতি, Whatsapp চ্যাট স্মার্ট গ্লাসে পড়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। মনে করা হচ্ছে আগামী দিনে স্মার্ট গ্লাসের মাধ্যমেই ব্যবহার করা যাবে Whatsapp।
সে ক্ষেত্রে যুগান্তকারী হয়ে উঠতে পারে স্মার্ট কন্ট্যাক্টলেন্স।