TRENDING:

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে ভিনগ্রহীদের পাঠানো মহাকাশযান, তথ্য প্রকাশ হার্ভার্ড-এর জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের

Last Updated:
impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: সায়েন্স ফিকশনের গল্পে ভিনগ্রহীদের পাঠানো মহাকাশযানের গল্প সবাই পড়েছি! কিন্তু এবার বোধহয় বাস্তবেই এমনটা ঘটতে চলেছে! পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে মহাজাগতিক একটি বস্তু যা হতেই পারে ভিনগ্রহীদের পাঠানো কোনও মহাকাশযান !
advertisement

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই জ্যোতির্বিজ্ঞানী স্যামুয়েল বেলি ও অভি লোয়েব-এর অন্তত এমনটাই মত! তাঁরা জানালেন, পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ওই মহাজাগতিক বস্তু ‘আউমুয়ামুয়া’ আদতে কোনও ধূমকেতু নয়। খুব সম্ভবত ওটা ভিনগ্রহীদের পাঠানো কোনও মহাকাশযান। আর সেটাকে চালাচ্ছে আলো। আমাদের সূর্য বা তার মতো কোনও নক্ষত্র না নক্ষত্রসমূহের আলোর তেজই তাকে ঠেলেঠুলে ব্রহ্মাণ্ডের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে নিয়ে চলেছে। অন্য কোনও নক্ষত্রমণ্ডল থেকে তাকে ঢুকিয়ে দিয়েছে আমাদের সৌরমণ্ডলে। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স’-এ প্রকাশিতব্য তাঁদের গবেষণাপত্রে এমনটাই দাবি করেছেন বেলি ও লোয়েব।

advertisement

গত বছরের অক্টোবরে হাওয়াই দ্বীপের হালিকালা অবজারভেটরির টেলিস্কোপে জ্যোতির্বিজ্ঞানী রবার্ট ভারিকের চোখে প্রথম ধরা পড়ে এই মহাজাগতিক বস্তুটি। এর পর থেকেই তাকে নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় বিজ্ঞানী মহল। নাম রাখা হয় ‘আউমুয়ামুয়া’। হাওয়াই দ্বীপের ভাষায় যার অর্থ, বহু দূর অতীত থেকে আসা কোনও বার্তাবাহক। ২৩০ মিটার লম্বা, ৪০ মিটার চওড়া কালচে-লাল রংয়ের ‘সিগার’-এর মতো দেখতে ‘আউমুয়ামুয়া’র বয়স, জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের অনুমানে, প্রায় কয়েকশো কোটি বছর। বড়জোর এক মিলিমিটার পুরু, কার্বনের কোনও যৌগে পুরোপুরি মোড়া শরীর । তবে, এর গতিবিধি এখনও সঠিক ভাবে বুঝে উঠতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।

advertisement

গত বছরের অক্টোবরে সূর্যের অত্যন্ত জোরালো অভিকর্ষ বলের টানে ‘আউমুয়ামুয়া’ আমাদের নক্ষত্রের কাছে আসার সময়েই তা প্রথম চোখে পড়েছিল বিজ্ঞানীদের। তার তিন মাস পর থেকেই আবার নিখোঁজ ‘আউমুয়ামুয়া’! পৃথিবীর কোনও প্রান্তের কোনও অবজারভেটরির কোনও শক্তিশালী টেলিস্কোপ থেকেই তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বিজ্ঞানীদের দাবি, সূর্যের কাছে আসার পরপরই অসম্ভব দ্রুত গতিতে ‘আউমুয়ামুয়া’ মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সির কোথাও আত্মগোপন করেছে!

advertisement

একটি বিবৃতিতে অধ্যাপক লোয়েব বলেছেন, আউমুয়ামুয়া ভিনগ্রহীদের ব্যবহার করা কোনও যন্ত্রাংশের ভেঙে পড়া, অচল হয়ে যাওয়া অংশ নাকি তা এখনও সক্রিয়, তা স্পষ্ট নয়। হতে পারে কোনও নক্ষত্রের তীব্র বিকিরণের চাপ বা দৈত্যাকার কোনও লেসার রশ্মির ঠেলাই ‘আউমুয়ামুয়া’কে আমাদের সৌরমণ্ডলে ঢুকিয়ে দিয়েচিল কোনও কালে।

এ বছরের জুনে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির বিজ্ঞানী মার্কো মিশেলি অঙ্ক কষে দেখিয়েছিলেন, শুধুই সূর্য বা কোনও নক্ষত্রের জোরালো অভিকর্ষ বলের টানে এই ব্রহ্মাণ্ডে ছুটে বেড়াচ্ছে না ‘আউমুয়ামুয়া’। তাই এটা কোনও গ্রহ বা গ্রহাণু নয়। বরং এটা যেন চলছে বাইরে থেকে আসা কোনও গ্যাসের ঠেলায়। তাই তাঁরা এটাকে ধূমকেতু বলেই মনে করেছিলেন।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ভুটান যাওয়া আরও সহজ! সস্তায় কলকাতা থেকে জয়গাঁ এক বাসে, দেখে নিন ভাড়া-সময়সূচি-রুট
আরও দেখুন

কিন্তু এই অক্টোবরে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী রোমান রাফিকভ জানান, এটা এমনই ‘পাগলাটে’ যে, তার কোনও সুনির্দিষ্ট কক্ষপথ নেই। সেই কক্ষপথে সূর্য বা কোনও নক্ষত্রের কাছে এলে যেমন তার জোরালো টানে ধূমকেতুর বরফ বা গ্যাসের অংশগুলি ছিটকে বেরিয়ে আসে, ‘আউমুয়ামুয়া’-র ক্ষেত্রে তা হয় না। তাই এটা কোনও ধূমকেতু নয়। নয় কোনও গ্রহাণুও। তাহলে কি এটাই সত্যি, ‘আউমুয়ামুয়া’ আদতে ভিনগ্রহীদের পাঠানো কোনও মহাকাশযান ? নিশ্চিত উত্তর এখনও খুঁজছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা !

বাংলা খবর/ খবর/প্রযুক্তি/
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে ভিনগ্রহীদের পাঠানো মহাকাশযান, তথ্য প্রকাশ হার্ভার্ড-এর জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের