২০০০ সালের তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) আইনে ৬৯ এ ধারা অনুযায়ী ওই ওয়েবসাইটগুলি ব্লক করা হয়েছে বলে জানান হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি আইনিরে এই বিশেষ ধারায় বলা হয়েছে, ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা অথবা আইন ও শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে কোনও রকম অপরাধে উসকানির দেওয়ার বিরুদ্ধে যে কোনও সময় কোনও সরকারি সংস্থা বা কোনও মধ্যস্থতাকারী সংস্থাকে তাদের ওয়েবসাইট বন্ধ করতে বলা যেতে পারে, যাতে আপামর জনগণ তা দেখতে না পান।
advertisement
আরও পড়ুন: ১৩টি নতুন মোবাইল প্ল্যানে বিনামূল্যে অ্যামাজন প্রাইম! দেখুন অসাধারণ এই অফার
SFLC.in-র তরফে আইনজীবী প্রশান্ত সুগানাথন (Prasanth Suganathan) বলেন, ‘কেন্দ্র বারবার তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৯ এ ধারাকে ব্যবহার করছে তথ্য গোপন করার জন্য। অনেক সময়ই দেখা যাচ্ছে এই আইনি ধারার বিধানগুলি লঙ্ঘন করা হচ্ছে, যেখানে বলা হয়েছে খুব সীমিত কারণেই জনগণের থেকে তথ্য লুকোনোর কথা।’
সংবাদ মাধ্যমের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৯এ ধারা প্রয়োগ করে:
- ২০১০ সালে ৯টি
- ২০১১ সালে ২১টি
- ২০১২ সালে ৩৬২টি
- ২০১৩ সালে ৬২টি
- ২০১৪ সালে ৪৭১টি
- ২০১৫ সালে ৫০০টি
- ২০১৬ সালে ৬৩৩টি
- ২০১৭ সালে ১৩৮৫টি
- ২০১৮ সালে ২৭৯৯টি
- ২০১৯ সালে ৩৬২৫টি
- ২০২০ সালে ৯৮৪৯টি
- ২০২১ সালে ৬০৯৬টি
- ২০২২ সালে ১৪৮২টি
(মার্চ পর্যন্ত) URL ব্লক করেছে কেন্দ্র সরকার।
ইনফরমেশন টেকনোলজি (প্রসিডিউর অ্যান্ড সেফগার্ডস ফর ব্লকিং ফর অ্যাকসেস অব ইনফরমেশন) রুলস, ২০০৯-এর ১৬ নম্বর ধারার অধীনে, যে কোনও অভিযোগ বা অনুরোধের ক্ষেত্রে কড়া গোপনীয়তা রক্ষার কথা বলা হয়েছে, যাতে তা কোনও ভাবেই প্রকাশ্যে না আসে। এই আইনের অধীনেই দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সরকার যে কোনও সময় কোনও কারণ না দেখিয়েই যে কোনও URL ব্লক করতে পারে।
আরও পড়ুন: মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের এই ৫ ট্রিক আসান করে দেবে লেখালিখি
সুগানাথনের দাবি, ‘তথ্যের গোপনীয়তা সংক্রান্ত ধারা প্রয়োগ করে কোথাও কোনও তথ্য না দিয়েই ওয়েবসাইট ব্লক করে দেওয়া হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট থেকে বিষয়বস্তু উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে কোনও কারণ না দেখিয়েই। এ ধরনের ঘটনা কিন্তু শ্রেয়া সিংহল (Shreya Singhal) বনাম কেন্দ্র মামলায় এর আগে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছিল তার বিপক্ষে যাচ্ছে।’