আজকের দুনিয়ায় ‘সেফ ব্রাউজিং’ এক অন্যতম চাহিদা। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সুরক্ষায় ‘সেফ ব্রাউজিং মোড’ (Safe Browsing Mode) উন্নত মানের একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। উন্নত সেফ ব্রাউজিং মোড লক্ষণীয় ভাবে ম্যালওয়্যারের আক্রমণ থেকে বাঁচায়।
সমস্ত অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং PC-তে গুগল ক্রোমে এই সেফ ব্রাউজিং মোড (Safe Browsing in Google Chrome) ব্যবহার করা যায়। iOS এবং iPad-এর ক্ষেত্রে ক্রোম ব্যবহারকারীরা এখনও এই বিশেষ পরিষেবা পান না।
advertisement
আরও পড়ুন - ব্যাঙ্ক থেকে হঠাৎ গায়েব টাকা! কোন কোন কৌশলে হতে পারে প্রতারণা, সতর্ক থাকবেন কীভাবে ?
ফোন যদি গুগল ক্রোম সেফ ব্রাউজিং মোড (Safe Browsing in Google Chrome) ব্যবহারের উপযোগী হয়, তা হলে কী ভাবে তা অ্যাক্টিভেট করতে হবে, ধাপে ধাপে রইল তারই খুঁটিনাটি।
১. Google Chrome ব্রাউজার খুলুন। Chrome UI (ইউজার-ইন্টারফেস) এর তিনটি বিন্দুতে ট্যাপ/ক্লিক করতে হবে।
২. বিকল্পগুলির মধ্যে, বামদিকে সেটিংস > নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা > নিরাপত্তা ক্লিক করতে হবে।
৩. এখানে, নিরাপত্তার তিনটি ভিন্ন স্তর পাওয়া যাবে–
(ক) কোনও সুরক্ষা নেই,
(খ)স্ট্যান্ডার্ড সুরক্ষা এবং
(গ)উন্নত সুরক্ষা।
৪. তিনটির মধ্যে, ‘উন্নত সুরক্ষা’য় ক্লিক করতে হবে এবং এটি এনেবল করতে হবে৷
আরও পড়ুন - বিশ্বের শক্তিশালী এই প্রসেসর-সহ সেরা স্মার্টফোনগুলি, দেখে নিন এক নজরে
এতে কী লাভ?
১. Google Chrome ওয়েবসাইটগুলি পরীক্ষা করবে এবং সম্ভাব্য বিপজ্জনক URL গুলির একটি তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখবে৷
২. ব্রাউজার নিজেই পরীক্ষা করে দেখে নেবে যে, ই-মেইল এবং পাসওয়ার্ড-সহ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা কোথাও লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না! কোনও ওয়েব সাইটে এই ধরনের বেআইনি কাণ্ড ঘটলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে একটি সতর্ক বার্তা পাঠাবে ব্রাউজার।
৩. Google Chrome উন্নত নিরাপদ ব্রাউজিং মোড ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করে৷
4. সম্ভাব্য বিপজ্জনক URL-এর তালিকায় না থাকলেও কোনও খারাপ ওয়েবসাইটকে চিহ্নিত করতে পারে সেফ ব্রাউজিং মোড। সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করতে পারে।
