অ্যাপগুলি ব্যান করার সময় ভারত সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই সেগুলি ব্যান করা হয়েছে। যদিও Tiktok-এর মতো সংস্থা জানিয়েছিল ভারত সরকারের (Indian Government) সব নিয়ম মেনেই তারা ভারতে ব্যবসা করবে এবং তার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই সুনিশ্চিত করবে সংস্থাটি। ভারতে ব্যবসা বন্ধ হলেও বিশ্বের বহু দেশে ব্যবসা করছে Tiktok। এমনকী Google-কে দমিয়ে রেখে ডাউনলোডে শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে ওই অ্যাপটি। কিন্তু ভারতে এখনও চালু করতে পারেনি তাদের ব্যবসা। কারণ চিনা এই অ্যাপ দেশের সুরক্ষা বিঘ্নিত করতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন - এক নজরে দেখে নিন WhatsApp এর ফন্ট সাইজ পরিবর্তন করার উপায়
আরও পড়ুন - খুব শীঘ্রই আসছে UPI Lite, এবার অফলাইনে করা যাবে লেনদেন
সর্বপ্রথম 2020 সালের ২৯ জুন ২২৪টি চিনা অ্যাপ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই তালিকায় ছিল Tiktok, Helo, PUBG Mobile, Likee, UC News, UC Browser, Bigo Live, ES File Explorer-এর মতো জনপ্রিয় অ্যাপগুলি। তার প্রভাব পড়েছে FDI-এ। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মাত্র ২.৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সরাসরি ভারতে বিনিয়োগ করেছে চিন। শুধু সেই সময় নয়, এর পর আরও একবার একাধিক অ্যাপ ব্যান (Mobile app banned) করা হয়েছিল। সর্বশেষ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ৪৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও ফেব্রুয়ারি মাসে যে অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলো আগেও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে ওই অ্যাপগুলি ফের নাম পরিবর্তন করে ফিরে এসেছিল। আর সেকারণেই ওই অ্যাপগুলো নতুন করে নিষিদ্ধ করার দরকার হয়েছে।
এবিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোম প্রকাশ বলেন, "ইন্টারনেট ব্যবহারের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে এবং নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩২০টি অ্যাপ ব্লক করেছে। ওই অ্যাপগুলি তথ্যপ্রযুক্তি আইন,২০০০এর ৬৯A ধারায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মাত্র ২.৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সরাসরি ভারতে বিনিয়োগ করেছে চিন। তিনি জানিয়েছেন, "ভারতে সমগ্র FDI-এর হিসেব ধরা হলে চিন রয়েছে ২০ নম্বর স্থানে। যা মোট FDI-এর .৪৩ শতাংশ।"