২০১৮ সালে লঞ্চ করা হয় গুগল ম্যাপের প্লাস কোড। এর মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন ধরনের এনজি এবং সরকার মিলিয়নের ওপর জনগণকে তাদের ঠিকানা খুঁজে বের করতে সাহায্য করে। প্লাস কোডের মাধ্যমে রাস্তার নাম, জায়গার নাম সঠিক ভাবে খুঁজে বের করা সম্ভব। বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার নেভিগেশনের ক্ষেত্রেও সাহায্য করে থেকে গুগল ম্যাপের প্লাস কোড। গুগল ম্যাপের প্রোডাক্ট ম্যানেজার অ্যামান্ডা বিশপ (Amanda Bishop) জানিয়েছেন, "ইউজারদের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ঠিকানা খুঁজে বার করার ক্ষেত্রে সাহায্য করে গুগল ম্যাপের প্লাস কোড। ভারতে গুগল ম্যাপের প্লাস কোড ফিচার পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করা হয় এক মাস আগে। এর মধ্যেই ভারতের প্রায় ৩০০০০০ ইউজার ব্যবহার করেছে গুগল ম্যাপের প্লাস কোড ফিচার। আমরা এখন গুগল ম্যাপের প্লাস কোড ফিচারের সঙ্গে অন্যান্য আরও বিভিন্ন জায়গাকে যুক্ত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও গুগল ম্যাপের প্লাস কোড ফিচারকে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার কাজেও ব্যবহার করা যাবে। এর মধ্যে রয়েছে ই-কমার্স, লজিস্টিক এবং বিভিন্ন ধরনের ডেলিভারি কোম্পানি। গুগুল ম্যাপের প্লাস কোড বিশ্বের প্রতিটি কোণে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া আমাদের প্রধান লক্ষ্য।"
advertisement
আরও পড়ুন - WhatsApp এখন আরও সুরক্ষিত! ৬ সংখ্যার পিন ছাড়া করা যাবে না লগ ইন
আরও পড়ুন - হু হু করে শেষ হয়ে যাচ্ছে মোবাইল ডেটা? সমস্যার সমাধানে থাকল চারটি গোপন কৌশল
গুগল ম্যাপের প্লাস কোড ফিচার ব্যবহার করার উপায় -
ইউজাররা যখন গুগল ম্যাপে হোম লোকেশন সেভ করবে, তখন ইউজাররা দেখতে পাবে একটি নতুন কমেন্ট ' ইউজ ইওর কারেন্ট লোকেশন' (Use Your Current Location)। সেটি ব্যবহার করার পর ফোন লোকেশনের মাধ্যমে জেনারেট হয়ে যাবে প্লাস কোড। সেখানে ইউজারদের নিজেদের বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করতে হবে। এরপর সেটিকে নিজের ফোনের মাধ্যমে সেভ করে রাখা যাবে। এরপর সেভ করে রাখা ইউজারদের নিজের ঠিকানা কপি এবং শেয়ার করা যাবে। এর ফলে ইউজারদের প্লাস কোড অন্যের সঙ্গে শেয়ার করার ফলে তার বাড়ির ঠিকানা সহজেই খুঁজে পাওয়া যাবে। বর্তমানে এই ফিচারটি শুধু অ্যান্ড্রয়েড (Android) ইউজাররাই ব্যবহার করতে পারছে, কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি অ্যাপল আইওএস (iOS) ইউজারদের জন্যও চালু করে দেওয়া হবে নতুন এই ফিচার।