এমনকি স্কুলটি সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী পি সবিতা ইন্দ্র রেড্ডির (P Sabitha Indra Reddy) কাছে ঈগল রোবটের কর্মক্ষমতাও প্রদর্শন করেছে যাতে সেগুলিকে সরকারি স্কুলে মোতায়েন করা যেতে পারে। বিদ্যালয়ে এই ধরনের রোবটিক্সের মাধ্যমে শিক্ষাদান করানো সম্ভব কি না তাও খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু এবং পুণেতে ইন্ডাসের তিনটি স্কুলে এই ধরনের ২১টি অত্যন্ত ইন্টারেক্টিভ ঈগল রোবট মোতায়েন করা হয়েছিল।
advertisement
ইণ্ডাস ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও অর্জুন রায় জানিয়েছেন যে, “আমরা সর্বদা শিক্ষাকে আর্থ-সামাজিক ব্যবধান ও ভেদাবেদ বিলুপ্ত করার সবচেয়ে শক্তিশালী ব্রহ্মাস্ত্র বলে বিশ্বাস করি। এই নীতিবাক্য আমাদের মানুষ এবং মেশিনের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতা আনতে প্রভাবিত করেছে। অন্যান্য ডোমেনের মতোই এআইয়ের সঙ্গে মিশ্রিত মানুষের বুদ্ধিমত্তা শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে এক দৃষ্টান্তকারী পরিবর্তন আনবে বলেই আমরা মনে করছি।”
আরও পড়ুন: সব টাকা পার্থদা'র, কর্মীরা এসে দিয়ে যেত! জেরায় স্বীকার অর্পিতার: সূত্র
তিনি আরও বলেন, “হিউম্যানয়েড রোবট শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শিক্ষাদানে সহায়তা করবে, ফলে শিক্ষক শিক্ষাদানে আরও সদর্থক ভূমিকা নিতে পারবেন। এই ধরনের দক্ষ শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শিক্ষাপ্রাপ্ত তরুণ প্রতিভারা আমাদের অর্থনীতিতে প্রয়োজনীয় গতি দান করতে পারবে”।
এই রোবটটি পঞ্চম থেকে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে শিক্ষকের সঙ্গে সঙ্গে এবং স্বতন্ত্র ভাবে একাও পড়াতে সক্ষম বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ধরনার ৫০১ দিন, অবশেষে অপসারিত পার্থ!
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ওই রোবটগুলি প্রায় ৩০টিরও বেশি ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় শিক্ষা দান করতে সক্ষম। উত্তর দেওয়া থেকে শুরু করে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে শিক্ষার্থীদের সন্দেহ দূর করা সবই করতে সক্ষম এই বোবট শিক্ষক। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের মানগত গুণমান যাচাই করার জন্য এই রোবটগুলি ক্লাস শেষে একটি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে মূল্যায়নও করতে পারবে। অন্য দিকে, শিক্ষার্থীরাও মোবাইল এবং ল্যাপটপের মতো ডিভাইসের মাধ্যমে রোবটের মূল্যায়ণ এবং বিষয়বস্তুর সঙ্গে খুব সহজেই সংযুক্ত হতে পারবে।
হায়দরাবাদের ইন্ডাস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ অপর্ণা অচন্ত বলেছেন যে, এই স্কুলটি সারা দেশে বেসরকারি-সরকারি স্কুলে ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঈগল রোবটের গুরুত্ব প্রচার করতে চায়।