এই বছরের শুরুর দিকের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, স্ক্যামার ও হ্যাকাররা বিভিন্ন ধরনের নম্বর থেকে ভিডিও কল (Online Video Call) করছে। কেউ যদি একবার সেই ভিডিও কল রিসিভ করে, তাহলে তার স্ক্রিনশট তুলে তাকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে। একবার ভিডিও কলের মাধ্যমে স্ক্রিনশট তুলে নেওয়ার পর, তার ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের নোংরা ছবি তৈরি করা হচ্ছে এবং তারপর তাকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে সেই ছবি দেখিয়ে। এই বছরের শুরুতেই ব্ল্যাকমেলার এই ধরনের ছবি দেখিয়ে একজনের থেকে ৫৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সুতরাং এই ধরনের অনলাইন ভিডিও কল স্ক্যাম থেকে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
advertisement
এই ধরনের ঘটনা পুরুষদের ক্ষেত্রেই বেশি ঘটছে। প্রথমে স্ক্যামাররা মহিলাদের দিয়ে পুরুষদের ভিডিও কল করাচ্ছে। এই ধরনের ভিডিও কল যখন করা হয়, তখন অপর দিকের মহিলারা অর্ধনগ্ন অবস্থায় ভিডিও কল করে। এরপর তারা পুরুষদের উত্তেজিত করার চেষ্টা করে। একবার পুরুষরা সেই ফাঁদে পা দিলে ক্যামেরা সেই ভিডিও রেকর্ড করে রাখে এবং স্ক্রিনশট তুলে রাখে। এরপর সেই পুরুষকে ব্ল্যাকমেল করা হয় সেই স্ক্রিনশট এবং ভিডিও দেখিয়ে। বলা হয় কথা না শুনলে তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেওয়া হবে। এইভাবেই তার থেকে হাতানো হয় টাকা। স্ক্যামাররা বিভিন্ন ধরনের ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করে এই ধরনের ভিডিও কল করে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে, জনপ্রিয় মেসেজিং প্লাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ব্যবহার করেও স্ক্যামাররা এই ধরনের দুর্নীতি করছে। করোনা মহামারীর প্রথম ঢেউয়ের সময় থেকে এই প্রবণতা ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে। বছরের শুরুর দিকে ৩০ বছরের এক যুবক এভাবেই ৫৫ হাজার টাকা খুইয়েছেন।
আরও পড়ুন: নেপাল থেকে সাইকেলে ভারতে এলেন এক যুবক! যুব সমাজকে সুস্থ থাকার বার্তা!
এই ধরনের দুর্নীতি থেকে বাঁচার জন্য প্রথমেই মাথায় রাখা দরকার যে, অচেনা কোনও নম্বর থেকে আসা ভিডিও কল রিসিভ করা উচিত নয়। এছাড়াও ইউজারদের নিজেদের ফোনের প্রাইভেসি সেটিং পরিবর্তন করে রাখা প্রয়োজন। এই ক্ষেত্রে নিজেদের ফোনে ওয়াটার-রাইট ব্যবহার করা উচিত। সব সময় মনে রাখা দরকার যে নিজেদের ফোন নম্বর, অন্যান্য অ্যাকাউন্টের আইডি এবং কন্টাক্ট লিস্ট যেন অচেনা ব্যক্তিরা দেখতে না পারে। এক্ষেত্রে নিজেদের অনলাইন সমস্ত প্ল্যাটফর্মের সেটিংস পরিবর্তন করা প্রয়োজন। অচেনা ব্যক্তির কাছে নিজেদের ফোন নম্বর এবং অ্যাকাউন্ট আইডি শেয়ার করাও উচিত নয়।