সাম্প্রতিক সময়ে ইন্টারনেটে বিনোদনের নামে যৌন প্রতারণার ব্যবসা রমরমিয়ে চলছে। যার ফলে দেশের প্রায় প্রতিটি প্রান্তের যুব সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর সবচেয়ে বড় কারণ, তথ্যের অভাব। এমন পরিস্থিতিতে ছোট্ট একটি ভুল আপনাকে বড় বিপদে ফেলতে পারে।
সাইবার সেক্স বিভিন্ন নামে পরিচিত, যেমন অনলাইন সেক্স, ইন্টারনেট সেক্স, নেট সেক্স এবং সাইবারিং। স্ক্যামাররা সাইবার সেক্সে যুবকদের ফাঁদে ফেলতে স্কাইপ, হোয়াটসঅ্যাপ এবং অন্যান্য অনেক ভিডিও কলিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে।
advertisement
আরও পড়ুন- সারা রাত মশা মারার মেশিন চালিয়ে রাখলে কতটা বিদ্যুৎ খরচ হয়? জেনে নিন
প্রযুক্তির আবির্ভাবের ফলে এখন আমাদের জীবন সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। আমাদের কাজের ধরনও বদলেছে। পতিতাবৃত্তির ব্যবসাও এর থেকে বাদ যাচ্ছে না। ইন্টারনেটের সাহায্যে যৌন ব্যবসা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তরুণদের ফাঁদে ফেলতে ভার্চুয়াল প্রযুক্তির আশ্রয় নিচ্ছে প্রতাপরপা।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে অনলাইন যৌনতার চাহিদাও দ্রুত বাড়ছে। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনলাইন যৌনতা আজকের তরুণ প্রজন্মের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। এতে একবার ফেঁসে গেলে তা থেকে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন।
ফেসবুক, স্কাইপ বা অন্য কোনও মাধ্যম ব্যবহার করে অনেককে ফাঁদে ফেলছে প্রতারকরা। প্রথমে তারা ইন্টারনেটে তাদের ভুয়া পরিচয় তৈরি করে। তার পর হানি ট্র্যাপ-এর মাধ্যমে শিকার ধরে।
প্রথমে অনেকের হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল আসছে। সেই কল রিসিভ করলেই বিপদ। স্ক্রিনশট তুলে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অংকের টাকা আদায় করছে প্রতারকরা।
আরও পড়ুন- ফেসবুকে ব্লু-টিক কীভাবে পাওয়া যায়? এখন পদ্ধতি খুব সহজ, জেনে নিন
ফেঁসে গেলে কী করবেন?
১- প্রথমে থানায় বা সাইবার ক্রাইম সেলে রিপোর্ট করুন।
২- পরিবারের একজন সদস্যকে এই ব্যাপারে জানান।
৩- অবিলম্বে যে আইডি ব্যবহার করে আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে তা ব্লক করুন।
৪- ব্ল্যাকমেইলারের আইডি সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করুন।
৫- ব্ল্যাকমেইলারের চ্যাটিং এর স্ক্রিন শট নিন।
৬- আপনি যদি ব্ল্যাকমেলিংয়ের জন্য অনলাইনে অর্থ প্রদান করে থাকেন তবে পুলিশকে তা জানান।
৭- ব্ল্যাকমেইলারের দেওয়া যে কোনো তথ্যের সম্পূর্ণ রেকর্ড রাখুন।