সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর একটি ঘটনা সামনে এসেছে। এক গ্রাহক একটি নতুন টাটা নেক্সন গাড়ি কিনেছিলেন। কিন্তু ডেলিভারির সময় ড্যামেজড গাড়ি পান। তিনি ভাল করে দেখেননি। পরে সমস্যা শুরু হয়। এখন উপায়?
জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর কানকপুরার অনুমোদিত টাটা ডিলারশিপ থেকে একটু নতুন টাটা নেক্সন গাড়ি কিনেছিলেন এক চিকিৎসক। দু-চারদিনের মধ্যেই গাড়ি ডেলিভারি দিয়ে যায়। তখন আর ভাল করে দেখেননি। কয়েকদিন ব্যবহারের পর লক্ষ্য করেন, গাড়ির প্যানেলে জং, দরজা ঠিকঠাক বন্ধ হচ্ছে না, বুট এবং অন্যান্য প্যানেলের রঙ চটে গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- ৩ বছরে এক মুহূর্তের জন্য বন্ধ হয়নি..! এ কী কাণ্ড পুরুলিয়ায়! কী রয়েছে জঙ্গলমহলের অন্দরে
প্রথমে এই সমস্যাগুলোকে খুব একটা পাত্তা দেননি ওই চিকিৎসক। ভেবেছিলেন, সারিয়ে নেবেন। কিন্তু লং ড্রাইভে বেরতেই আরও গুরুতর সমস্যা সামনে আসে। তিনি লক্ষ্য করেন, কেবিনের ভিতর দুর্গন্ধে ভরে গিয়েছে। রি-সার্কুলেশন মোড চালু থাকা সত্ত্বেও এসি ভেন্ট থেকে ঠান্ডার বদলে গরম বাতাস বেরচ্ছে।
এখানেই শেষ নয়। ইঞ্জিন বে-তে কোনো ইনসুলেশন ছিল না, যার ফলে কেবিনের ভেতরে জ্বালানির গন্ধ আসছিল। অটো-ডোর লক ফাংশনও কাজ করছিল না। তখন ওই চিকিৎসক অনুমান করেন, তাঁকে ড্যামেজড গাড়ি দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসক গাড়ি নিয়ে ডিলারের কাছে যান। কিন্তু ডিলার এসব শুনতে রাজি নয়। টাটা কোম্পানির শীর্ষ কর্তাদের মেইল করেন। কিন্তু কোনও উত্তর মেলে না। শেষে কনজিউমার কোর্টে অভিযোগ জানান তিনি। তারপর গাড়ি নিয়ে যান মেকানিকের কাছে। মেকানিক সব দেখেশুনে জানান, এই গাড়িতে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেটাকেই সারিয়ে বিক্রি করা হয়েছে। সোজা কথায়, তাঁকে ড্যামেজড গাড়ি বিক্রি করেছে কোম্পানি।
গাড়ির মালিক কনজিউমার কোর্টে অভিযোগ জানানোর পর আদালত ডিলারকে ১৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সঙ্গে আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ডিলারকে গাড়ির সমস্ত ত্রুটি মেরামত করে দিতে হবে। ডিলার ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়, তবে গ্রাহক এখনও টাকা পাননি। তাই নতুন গাড়ই কেনার পরিকল্পনা থাকলে ডেলিভারির আগে ভালভাবে পরীক্ষা করে নিতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে এই ধরণের সমস্যার মুখে পড়তে না হয়।