১৯ এবং ২০ মার্চ নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘রাইজিং ভারত’ সামিট, সিএনএন-নিউজ ১৮-এর মার্কি লিডারশিপ কনক্লেভের চতুর্থ সংস্করণ। অর্ন্তদৃষ্টিমূলক বিশ্লেষণ, চিন্তা চেতনায় জোয়ার আনার মতো সক্ষম প্যানেল এবং দূরদৃষ্টিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে ‘রাইজিং ভারত’-এর লক্ষ্য হল, সারা বিশ্বে ভারতের প্রভাবের বহুমুখী মাত্রা এবং তার মন্ত্র ‘লিডিং ফর গ্লোবাল গুড’-এর মধ্য দিয়ে সকলের জন্য ন্যায়সঙ্গত এবং সুন্দর ভবিষ্যতের সন্ধান করা।
advertisement
এই অনুষ্ঠানেই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি চিপ নিয়ে আশার কথা শোনালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি জানান, দেশ এখন ইলেকট্রনিক্স হাবে পরিণত হয়েছে। ভারত ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের টেলি কমিউনিকেশনের যন্ত্রপাতি রফতানি করেছে।
আরও পড়ুন- রাইজিং ভারতের প্রথম দিনে নজর ‘শাহি’ উপস্থিতিতে, থাকছেন গড়করি, অশ্বিনী বৈষ্ণব-সহ অনেকেই
গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছিলেন, গুজরাতের ধলেরাতে টাটা ইলেকট্রনিক্স এবং সিজি পাওয়ারের চিপ উৎপাদন কারখানা থেকে ২০২৬ সালের শেষ দিকে মেড ইন ইন্ডিয়া চিপ বাজারে চলে আসবে। প্ল্যান্ট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ধলেরা থেকে প্রথম চিপ ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে বের হবে। মাইক্রোন প্ল্যান্টের চিপ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরেই বাজারে চলে আসবে। ২০২৯ সালের মধ্যে বিশ্বের সেরা পাঁচ চিপ ইকোসিস্টেমের মধ্যে জায়গা করে নেবে ভারত’।
আরও পড়ুন-‘দল ভাল বলেই আমি ভাল’, রাইজিং ভারত সামিটে আত্মবিশ্বাসী নীতীন গড়করি
অন্য দিকে, ভারতীয় রেলওয়ে নিয়েও এদিন মুখ খোলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের আগে ভারতীয় রেলকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হত। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার গত দশ বছরে ভারতীয় রেলের উত্তরোত্তর বৃদ্ধির ভূমি তৈরি করেছে’। অশ্বিনী বৈষ্ণবের কথায়, ‘ভারতীয় রেলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে রেলের কর্মীরা খুবই খুশি’।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, তিনটি বিষয় ভারতীয় রেলকে আবার স্ব-ট্র্যাকে ফিরিয়ে এনেছে। সেগুলি হল, ভারতীয় রেলের তহবিল বৃদ্ধি, রেলওয়ে প্রযুক্তির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পদ্ধতিগত পরিকল্পনা তৈরি এবং ভারতীয় রেলের অরাজনৈতিকরণ। পাশাপাশি ফ্যাক্ট চেকিং নিয়ে বলতে গিয়ে অশ্বিনী স্পষ্ট বলেন, ‘সরকারকে নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকলে সরকারকেই জিজ্ঞাসা করতে হবে। তথ্য এবং মতামতের মধ্যে পার্থক্য আছে’।