নাজিহা সেলিম যে শৈলীতে ছবি আঁকেন এবং শিল্পকলায় তাঁর অসামান্য অবদানের প্রতি অটুট ও উপযুক্ত শ্রদ্ধা শনিবারের এই গুগল ডুডল। আজকের ডুডলটি দু’টি ছবির সংমিশ্রণ একটি তুলি ধরে রয়েছেন নাজিহা সেলিম এবং অন্যটি তাঁর চিত্রকর্ম যাতে সবসময়ই গ্রামীণ ইরাকি মহিলাদের কথা তুলে ধরেছেন নাজিহা৷
আরও পড়ুন- ল্যাংচার নাম ল্যাংচা হল কেন? বাংলার ঐতিহ্যশালী এই মিষ্টির ইতিহাস অনেকেরই অজানা
advertisement
ইরাকের রাষ্ট্রপতি জালাল তালাবানি এর আগে নাজিহা সেলিম সম্বন্ধ বলেন, নাজিহা হলেন “প্রথম ইরাকি মহিলা যিনি ইরাকের সমসাময়িক শিল্পস্তম্ভগুলিতে নোঙর ফেলেছেন।”
নাজিহা সেলিম ১৯২৭ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা একজন চিত্রশিল্পী এবং তার মা একজন সূচিকর্ম শিল্পী ছিলেন। নাজিহা তিন ভাইদের সবাই শিল্পকলা নিয়েই কাজ করতেন। নাজিহার ভাই জাওয়াদ ইরাকের সবচেয়ে প্রভাবশালী ভাস্কর হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর অন্য ভাই সুআদ সেলিম ছিলেন একজন ডিজাইনার এবং তাঁর তৃতীয় ভাই রশিদ একজন রাজনৈতিক কার্টুনিস্ট ছিলেন।
আরও পড়ুন- কেন পটল তোলা মানেই মারা যাওয়া? মৃত্যুর সঙ্গে কী সম্পর্ক এই নিরীহ সবজির?
এমন একটি শৈল্পিক পরিবারে মানুষ হওয়া নাজিহা সেলিম ছোটবেলা থেকেই সৃজনশীল যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। নাজিহা সেলিম চিত্রকলা বিষয়েই পড়াশোনা করে বাগদাদ ফাইন আর্টস ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক হন। পরে, প্যারিসের Ecole Nationale Superieure des Beaux-Arts-এ পড়ার জন্য প্রথম মহিলা হিসেবে বৃত্তিও পান নাজিহা।
নাজিহা সেলিম প্যারিসের ফ্রেস্কো এবং ম্যুরাল পেইন্টিংয়ের বিশেষজ্ঞ। পড়াশোনা শেষ করে এবং বিদেশের অভিজ্ঞতা নিয়ে চারুকলা কেন্দ্রে কাজ করার জন্য বাগদাদে ফিরে আসেন এবং অবসর নেওয়া পর্যন্ত সেখানে শিক্ষকতা করেন নাজিহা।
আল-রুওয়াদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন হলেন নাজিহা সেলিম। এটি শিল্পীদের একটি সম্প্রদায় যারা বিদেশে পড়াশোনা করেন এবং তারপর ইরাকি নান্দনিকতায় ইউরোপীয় শিল্প কৌশলগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করেন।
নাজিহা সেলিম “ইরাক: সমসাময়িক শিল্প” বইটি লেখেন যা ইরাকের আধুনিক শিল্প আন্দোলনের এক গুরুত্বপূর্ণ দলিল। নাজিহা সেলিমের শিল্পকর্ম শারজাহ আর্ট মিউজিয়াম এবং মডার্ন আর্ট ইরাকি আর্কাইভে পাওয়া যায়।