সব সময় মনে রাখতে হবে যতই প্রিয় হোক, মোবাইল একটি বৈদ্যুতীন যন্ত্র। শরীর থেকে তাকে খানিকটা দূরে রাখা খুবই প্রয়োজন। ব্যবহারের সময় সেটা সম্ভব নয় বটে, তবে মোবাইল চার্জ দেওয়া বা রাতে ঘুমনোর সময় মোবাইল শরীর থেকে যত দূরে থাকে ততই ভাল।
কেন মোবাইলে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে, তা জানলে অনেকটা সতর্ক হওয়া যায়।
advertisement
১. আসলে, মোবাইলের ব্যাটারিতেই বিস্ফোরণ ঘটে। অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়ে গেলে ব্যটারি ফেটে যেতে পারে। তবে এর সঙ্গে আবহাওয়ার সম্পর্ক প্রায় নেই বললেই চলে। ব্যবহারের কারণেই ব্যাটারির তাপমাত্রা বেড়ে যায়। অতিরিক্ত উত্তাপে তা বিস্ফারিত হয়। দামি স্মার্টফোনগুলিতে সাধারণত ব্যাটারি ঠান্ডা রাখার ব্যবস্থা থাকে। তবে ফোনে এই ফিচার থাকে না।
আরও পড়ুন: চলতে চলতে ফ্যানের স্পিড কমে গিয়েছে? নতুন এর মতো ঝড়ের গতির জন্য করুন এই কাজ
২. এর বাইরে মোবাইলের ভিতরে কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ থেকেও বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। মোবাইলে শর্ট সার্কিট হলে বা হাই-এন্ড প্রসেসরে হিট সিঙ্ক ইনস্টল না করা থাকলে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
৩. মোবাইল চার্জ করার সময় তার চারপাশে রেডিয়েশন বেশি থাকে এবং এর কারণে ব্যাটারি গরম হয়ে যায়। এভাবে চার্জ করার সময় কথা বললে ফোন ফেটে যেতে পারে।
৪. ব্যাটারিতে কোনও রকম রাসায়নিক পরিবর্তনের কারণেও এটি বিস্ফোরিত হতে পারে।
৫. মোবাইল ব্যাটারিতে অনেকগুলি স্তর থাকে। কখনও কখনও এই স্তরগুলি ভেঙে যায়। আবার অনেক সময় তাদের মধ্যে ফাঁক তৈরি হয়। এসময় ব্যাটারি ফুলে যায়। এতে শর্ট সার্কিট এবং বিস্ফোরণের সম্ভাবনা বাড়ে।
আরও পড়ুন - দেওয়াল থেকে কতটা দূরে রাখতে হয় ফ্রিজ? ৯৯% মানুষ সঠিক তথ্য জানেন না
৬. আজকাল বেশিরভাগ ফোনেই হাই-এন্ড প্রসেসর থাকে। এতে ফোন উত্তপ্ত হয় বেশি। অনেকক্ষণ ব্যবহার করলে প্রসেসর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তখন ব্যাটারিও গরম হয়ে যায়। বিস্ফোরণের আশঙ্কা বাড়ে।
কী কী করতে হবে—
১. অতিরিক্ত অ্যাপ ডাউনলোড করে মোবাইলের উপর চাপ না বাড়ানোই ভাল।
২. বালিশের নিচে মোবাইল রেখে ঘুমনো ঠিক নয়।
৩. বন্ধ গাড়ির ভিতরে মোবাইল রাখা যাবে না।
৪. একটানা ২-৩ ঘণ্টা ফোনে কথা বলা বা অন্য কাজ করা ঠিক নয়।
৫. ডুপ্লিকেট চার্জার ব্যবহার করা যাবে না।
৬. চার্জ করার সময় কথা বলা বা অন্য কাজ করা ঠিক নয়।