এরই অন্যতম এবং সর্বশেষ সংযোজন হল ই-সিম। বেশ কয়েক বছর আগেই ই-সিম বাজারে রয়েছে। কিন্তু iPhone 14 সিরিজ লঞ্চ করার পরই তা আরও বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খুচরা দোকানে পাওয়া সমস্ত iPhone 14 মডেলে ফিজিক্যাল সিম স্লট দেয়নি Apple। কিন্তু ভারতে তেমন নয়। অনেক ভারতীয় নাগরিকই সাশ্রয়ী মূল্যে মোবাইল কিনতে আমেরিকা থেকে ফোনটি কিনেছেন। ফলে তাঁরা এখন ফিজিক্যাল সিম-এর বদলে ই-সিম নিতে চাইছেন।
advertisement
এদিকে গত কয়েক বছরে সিম অদলবদল করার জালিয়াতিও বেড়েছে। হ্যাকাররা একই নম্বরের নতুন সিম কার্ড সক্রিয় করার সময় ব্যবহৃত দ্বিপাক্ষিক প্রমাণীকরণ এবং যাচাইকরণের সুবিধা নিয়ে প্রতারণা করছে।
আরও পড়ুন: আপনার হাতের স্মার্টফোনে কতগুলো সেন্সর একসঙ্গে কাজ করে জানেন?
ই-সিমের নামে প্রতারণা
iPhone 14 আসার পর মানুষের মধ্যে এখন ই-সিমের প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে। বাড়ছে প্রতারণাও। তাই সিম পরিবর্তন করার আগে নিজের টেলিকম অপারেটর-এর সঙ্গে কথা বলে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ই-সিমে স্যুইচ করার আগে জেনে নিতে হবে নির্দিষ্ট মোবাইল ফোনটি ই-সিম ব্যবহারের উপযুক্ত কিনা। টেলিকম অপারেটর ই-সিম সুবিধা প্রদান করে কিনা তা-ও জেনে নেওয়া দরকার।
কী ভাবে হয় জালিয়াতি?
সিম অদলবদল করার জন্য, জালিয়াতরা গ্রাহকের নম্বরের একটি সিম কার্ড কেনে৷ এই নম্বর কেনার জন্য টেলিকম অপারেটরকে যে কোনও ব্যক্তির আইডি কার্ড, মোবাইল নম্বর-সহ অনেক ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে থাকে তারা। এর পরে, প্রতারক তার মোবাইলে নতুন সিম কার্ড প্রবেশ করালেই, পুরনো সিমটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্লক হয়ে যায়। তারপরে ওটিপি, মেসেজ এবং সমস্ত কল সরাসরি জালিয়াতের সিমে চলে যায়।
কী ভাবে সতর্ক থাকা যায়?
সব থেকে ভাল উপায় হল ই-সিম ব্যবহার করা। আসলে এটি পুরনো সিম কার্ডের একটি ডিজিটাল সংস্করণ, যা সরাসরি ডিভাইসে এম্বেড করা থাকে। ই-সিম সহজেই সক্রিয় এবং দূর থেকে নিষ্ক্রিয় করা যায়। ফিজিক্যাল সিম কার্ডের মতো ফোনে ই-সিম ঢোকানোর বা বের করার দরকার হয় না। তাই এটি হারিয়ে যাওয়ার, ভেঙে যাওয়ার বা চুরি হওয়ার কোনো ভয় নেই।