কার্যকারিতা নষ্ট—
ভাঙা স্ক্রিন ক্রমাগত ব্যবহার করতে থাকলে ফোনের বিভিন্ন অংশ ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় টাচ স্ক্রিন ঠিক মতো ব্যবহারকারীর আঙুলের নির্দেশ পালন করছে না। করলেও সময় নিচ্ছে অনেক বেশি।
শর্ট সার্কিটের আশঙ্কা—
স্মার্টফোনের উপরের স্ক্রিন ভিতরের যন্ত্রাংশকে রক্ষা করে। ফলে ধুলো বা জলীয় কোনও পদার্থ সহজে ভিতরে ঢুকে পড়তে পারে না। কিন্তু সেই আবরণ নষ্ট হলে, খুব সহজেই বাইরে থেকে জল বা ধুলো ঢুকে ডিভাইসটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ফোনের ভিতর শর্ট সার্কিটও হতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে বেশির ভাগ ভারতীয় ব্যবহার করেছেন এই সব পাসওয়ার্ড! আপনিও কি তাঁদের দলে!
বিকিরণের ঝুঁকি—
ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার (IARC) সেলফোনের রেডিওফ্রিকোয়েন্সিকে সম্ভাব্য কার্সিনোজেনিক বলে সন্দেহ করছে। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি বিশ্বাস করে, স্মার্টফোনের ব্যবহার স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে না, এটা প্রমাণ করার জন্য আরও গবেষণা করা উচিত। এমনিতেই স্মার্টফোন বিপজ্জনক বিকিরণ ছড়ায়। তার উপর যদি স্ক্রিন ভাঙা হয়, তাহলে বিপদ বাড়তে পারে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
চোখের ক্ষতি—
ভাঙা স্ক্রিন-সহ স্মার্টফোন ব্যবহার করলে অনেক ভাবেই তার দৃশ্যমানতা কম হয়। তাই যেকোনও কাজ করার সময় চোখের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার, গেম বা ভিডিও দেখার সময়। এতে চোখের বড় ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ব্যবহারকারীর বিপদ—
ফাটা ফোনের স্ক্রিন ধারাল হতে পারে। ফলে স্ক্রিন ব্যবহার করার সময় আঙুল কেটে যেতেও পারে। অথবা গুঁড়ো কাচ কোথাও ছড়িয়ে পড়ে বিপদ বাড়াতে পারে।
