অনেক সময় আবার অনেকেই মাথায় হেলমেট পরতে চান না। আর হেলমেট না পরার ফলে ঘটে যেতে পারে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। তবে আজও আমাদের দেশে হেলমেট নিয়ে যথেষ্ট সচেতনতার অভাব রয়ে গিয়েছে। আবার অনেক সময় শুধু চালান কাটার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অনেকে হেলমেট কিনে তো নেন। কিন্তু তা পরেন না।
আরও পড়ুন- মাত্র ২৪৯০০ টাকা দিলেই iPhone 16! কোথায় দিচ্ছে এমন দুর্দান্ত অফার, জেনে নিন
advertisement
আর সেই হেলমেট আদৌ মজবুত কি না, সেটা যাচাই পর্যন্ত করেন না। দেখে মজবুত মনে হলেও সেই সমস্ত হেলমেট মজবুত না-ও হতে পারে। আর কোনও ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে গেলে গুরুতর চোটের হাত থেকে বাইক আরোহীর মাথাকে রক্ষা করতে পারে না এই ধরনের হেলমেট। এমন পরিস্থিতিতে হেলমেটের বিষয়ে বাইক কিংবা স্কুটির আরোহীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
ভারতের বিপজ্জনক পথ সুরক্ষা সঙ্কটের পরিস্থিতিতে Steelbird Helmets-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব কাপুর চালু করেছেন Mission Save Lives 2.0 India। মূলত পথ দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করার দিকে সরকারের মনোযোগ আকর্ষণ করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল যে, মানুষের মধ্যে সেফ রাইডিংয়ের বিষয়টা প্রচার করার জন্যই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যা পথ দুর্ঘটনার হার এবং প্রাণহানির আশঙ্কা অনেকাংশে কমিয়ে দেবে।
রাস্তার ধার থেকে কেনা হেলমেট কেন বিপজ্জনক?
বাইক কিংবা স্কুটির মতো দুই চাকার যান যাঁরা চালাতে অভ্যস্ত, তাঁদের মধ্যে অনেক সময়ই রাস্তার ধার থেকে হেলমেট কেনার প্রবণতা দেখা যায়। কারণ এটা মাথায় রাখা আবশ্যক যে, এই সব জায়গা থেকে কেনা এই হেলমেটগুলি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বানানো তো হয়ই না। সেই সঙ্গে এগুলি সার্টিফায়েডও নয়। অর্থাৎ এই ধরনের হেলমেট সার্টিফিকেট-প্রাপ্ত নয়।
এই হেলমেটগুলি ট্রেন্ডি দেখতে হতে পারে, কিন্তু এগুলি মাথায় পরলে দুর্ঘটনার সময় তা মাথাকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা প্রদান করতে পারে না। তাই বাইক অথবা স্কুটি আরোহীদের সব সময় ISI (Indian Standard Institute)-যুক্ত হেলমেট কেনা উচিত। মূলত এই ISI মার্ক প্রদান করে Bureau of Indian Standards (BIS)। এই ধরনের হেলমেট মাথাকে যে কোনও আঘাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম।