TRENDING:

ফ্রিজ এবং ফ্রিজারের পার্থক্য কী? প্রায় অধিকাংশ মানুষেরই উত্তর অজানা

Last Updated:

ফ্রিজ এবং ফ্রিজারের তাপমাত্রা সাধারণত আলাদা হয়। আসলে রেফ্রিজারেটরের যে কম্পার্টমেন্টের তাপমাত্রা কম হয়, তাকে ফ্রিজার বলে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
Difference Between Fridge and Freezer: ইদানীং কালে প্রতিটি বাড়িতেই রেফ্রিজারেটরের দেখা মেলে। এটা রান্নাঘরের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। এমনকী আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর তালিকাতেও দিব্যি স্থান করে নিয়েছে এই যন্ত্র। কারণ শুধুমাত্র ঠান্ডা জল খাওয়া কিংবা বরফের জন্য তো আর এর প্রয়োজনীয়তা তুঙ্গে থাকে না, তার পাশাপাশি রোজকার খাবারদাবার, শাকসবজি, ফল দুধ যাতে নষ্ট না-হয়ে যায়, তার জন্যও এই যন্ত্রের প্রয়োজন।
advertisement

আজকাল ব্যস্ততার জন্য অনেকেই রোজ বাজারে যেতে পারেন না, সেক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে শাক-সবজি এবং মাছ-মাংস কিনে তা গোটা সপ্তাহের জন্য ফ্রিজে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এতে কোনও কিছু নষ্ট তো হবেই না, আর শাক-সবজিও বেশ তাজাই থাকে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, একটা দিনও আমরা রেফ্রিজারেটর ছাড়া কাটাতে পারব না।

আরও পড়ুন: আপনার আইডি দিয়ে ক'টা সিম চলছে? জানতে পারবেন এই ওয়েবসাইটে গিয়ে

advertisement

তবে চলতি কথায় রেফ্রিজারেটরকে আমরা সাধারণত ফ্রিজ বলেই ডেকে থাকি। আর এখানে মূলত দুটি কম্পার্টমেন্ট থাকে, যার তাপমাত্রা কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন হয়। সহজ ভাবে বলতে গেলে, ফ্রিজ এবং ফ্রিজারের তাপমাত্রা সাধারণত আলাদা হয়। আসলে রেফ্রিজারেটরের যে কম্পার্টমেন্টের তাপমাত্রা কম হয়, তাকে ফ্রিজার বলে।

রেফ্রিজারেটরের বড় অংশটিতে সাধারণত ঠান্ডা জল, শাক-সবজি, ফল রাখা হয়। এই অংশের তাপমাত্রা হয় ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। অন্য দিকে, রেফ্রিজারেটরের তুলনামূলক ছোট কম্পার্টমেন্টটিকে বলা হয় ফ্রিজার। এখানকার তাপমাত্রা সাধারণত হিমাঙ্কের নিচে থাকে এবং এটি বরফ জমানোর জন্যই ব্যবহৃত হয়। রেফ্রিজারেটরে খাদ্যসামগ্রীকে ০ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। যেখানে খাদ্যসামগ্রীকে -১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সংরক্ষণ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে ফ্রিজার।

advertisement

আরও পড়ুন - ইনবক্স মেমোরি ভর্তি হয়ে গিয়েছে? এক ক্লিকেই মুছে ফেলুন Gmail-র সব প্রোমোশনাল মেল, দেখে নিন কীভাবে

কত ধরনের ফ্রিজ পাওয়া যায়?

বর্তমানে বাজারে নানা ধরনের ফ্রিজ পাওয়া যায়। এবার ক্রেতারা নিজেদের জীবনযাত্রার ধরন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রেফ্রিজারেটর বেছে নিতে পারেন। এর মধ্যে অন্যতম হল - ফ্রেঞ্চ ডোর, সাইড বাই সাইড, টপ ফ্রিজার, বটম ফ্রিজার, আন্ডার কাউন্টার এবং কোয়াড ডোর। অধিকাংশ ফ্রিজই সাধারণত ফ্রিস্ট্যান্ডিং হয়ে থাকে। কিন্তু ক্রেতা রেফ্রিজারেটরে বিল্ট-ইন ফ্রিজ কাউন্টার ডেপথ মডেলও পেয়ে যেতে পারেন।

advertisement

রেফ্রিজারেটরের আকার-আয়তন:

রেফ্রিজারেটরের স্টাইল, ক্ষমতা এবং আকার-আয়তন বিভিন্ন ধরনের হয়। স্ট্যান্ডার্ড রেফ্রিজারেটর সাধারণত ২৪ থেকে ৪০ ইঞ্চি চওড়া হয়ে থাকে। আর ৬২ থেকে ৭২ ইঞ্চি লম্বা বা উঁচু হয় এবং এর ডেপথ বা গভীরতা হয় ২৯ থেকে ৩৬ ইঞ্চি। আবার ফ্রেঞ্চ ডোর এবং সাইড বাই সাইড রেফ্রিজারেটরের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ অনেকটাই বেশি হয়। আর কাউন্টার-ডেপথ মডেল এই দুই কনফিগারেশনে পাওয়া যায়। সেখানে টপ এবং বটম রেফ্রিজারেটর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ছোট আকারেই পাওয়া যায়।

advertisement

রেফ্রিজারেটরের আকার-আয়তন কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

সঠিক মডেল কিংবা রেফ্রিজারেটর বাছাই করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল রেফ্রিজারেটরের আকার-আয়তন। আর এই বিষয়টা সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করে পরিবার ও পারিবারিক খাদ্যাভ্যাস, ঘরের জায়গা এবং ক্রেতার বাজেটের উপর। তবে ফ্রিজের আকার-আয়তন এর কার্যক্ষমতার উপর কোনও রকম প্রভাব ফেলে না। ক্রেতা বড় অথবা ছোট রেফ্রিজারেটর কিনুন না-কেন, উভয়েরই কর্মক্ষমতা সমান হবে।

বাংলা খবর/ খবর/প্রযুক্তি/
ফ্রিজ এবং ফ্রিজারের পার্থক্য কী? প্রায় অধিকাংশ মানুষেরই উত্তর অজানা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল