আর আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স জারি করেন ভারত সরকারের সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ। এর ফলে ব্যবহারকারী অন্যান্য দেশে গিয়েও ফোর-হুইলার কিংবা টু-হুইলার চালাতে পারেন। এটা আসলে ড্রাইভারের লাইসেন্সের অফিসিয়াল ট্রান্সলেশন বা অনুবাদ। সেখানে নথিপত্রগুলি এমন ভাষায় অনুবাদ করা থাকবে, যাতে তা সংশ্লিষ্ট দেশে বোধগম্য হয়।
যিনি ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স বা আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করছেন, তাঁকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। আর বয়স ১৮ বছরের উর্ধ্বে হওয়াটাও আবশ্যক। এর পাশাপাশি সেই ব্যক্তির একটি বৈধ ভারতীয় ড্রাইভিং লাইসেন্সও থাকতে হবে। এছাড়া আবেদনকারীর বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসাও থাকা আবশ্যক।
advertisement
আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে গেলে কয়েকটি নথির প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে অন্যতম হল Form 4A আর Form 1A, একটি বৈধ ড্রাইভার্স লাইসেন্সের কপি, পাসপোর্ট এবং ভিসার একটি কপি, ভেরিফিকেশনের জন্য ডুপ্লিকেট এয়ার টিকিট, ১০০০ টাকা আবেদন ফি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ভারতীয় নাগরিকত্বের সার্টিফায়েড প্রমাণ, ঠিকানার প্রমাণপত্রের কপি এবং বয়সের প্রমাণপত্রের নথি।
আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনের জন্য কী কী করতে হবে?
মিনিস্ট্রি অফ রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড হাইওয়েজ-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে একজন আবেদনকারী আইডিপি-র জন্য আবেদন করতে পারেন। অথবা তাঁদের আরটিও-র থেকে সরাসরি অনুমোদন চাইতে পারেন।
আরও পড়ুন: আপনিই হবেন সেরা! চরম সুখ পেতে ওষুধ নয়, খান এই জিনিস! রান্না ঘরেই আছে যৌবনের রহস্য!
Form 4A আর Form 1A পূরণ:
আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনের জন্য প্রথম ধাপ হল Form 4A আর Form 1A পূরণ। আর বলে রাখা ভাল যে, এই ফর্ম দুটি কিন্তু আলাদা। Form 4A হল সার্টিফিকেট, যেখানে বলা হবে, আবেদনকারী একজন যোগ্য চালক। আবার Form 1A আবেদনকারীর মেডিক্যাল ফিটনেস স্টেটাস ব্যক্ত করবে। মিনিস্ট্রি অফ রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড হাইওয়েজ-এর ওয়েবসাইট থেকে মিলবে এই দুই ফর্ম। কিংবা স্থানীয় আরটিও থেকেও তা পাওয়া যেতে পারে।
ফি-সহ সমস্ত নথি পেশ:
উপরোক্ত দুই পূরণ করার পরে সমস্ত তথ্য জমা করতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হল ভারতীয় ড্রাইভিং লাইসেন্স, আইডেন্টিটি বা পরিচয় পত্র, বয়স এবং ঠিকানার প্রমাণপত্র। আবেদনকারীর কাছে থাকা আইনি নথিতে উল্লিখিত তথ্য অনুযায়ী যেন পেশ করা সমস্ত তথ্য সঠিক হয়। কারণ ভুল তথ্য প্রদান করলে আইনি জটিলতায় ফেঁসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওয়েবসাইট অথবা আরটিও-র কাছে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি জমা করতে হবে। এরপর নথি এবং ফর্ম জমা করে ১০০০ টাকা ফি দিতে হবে।
ড্রাইভিং টেস্ট:
ভারতীয় ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনের জন্য যেমন ড্রাইভিং পরীক্ষা দিতে হয়, এক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই করতে হয়। অর্থাৎ আইডিপি পেতে গেলেও আবেদনকারীকে ড্রাইভিং টেস্ট দিতে হবে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, সমস্ত ফর্ম আর বৈধ নথি জমা করে ফি দেওয়ার পরে ড্রাইভিং পরীক্ষা দিলে তবেই আইডিপি পাওয়া যাবে। এই সমস্ত প্রক্রিয়া যদি আবেদনকারী সফল হন, তাহলেই তিনি চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যাবেন।