দেশ জুড়ে ডিজিটালাইজেশন এবং ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ধারণা ছড়িয়ে পড়ছে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স দখল করে নিয়ে স্পটলাইট। ফলে প্রযুক্তিখাতে উল্লেখযোগ্য এবং দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন যে আসতে চলেছে সেটা স্পষ্ট।
ইউনিয়ন বাজেট ২০২৪ | Union Budget 2024 LIVE News
১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪-২৫ সালের অর্ন্তবর্তী বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তারপর লোকসভা ভোট। জয়ী দল সরকারে আসার পর পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হবে। যাই হোক, গত বছর কেন্দ্রীয় বাজেটের মূল বিষয় ছিল প্রযুক্তি। সেটা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স হোক কিংবা কিশোর-কিশোরীদের জন্য জাতীয় ডিজিটাল লাইব্রেরি বা ৫জি পরিষেবার জন্য ল্যাব।
advertisement
২০২৪-২৫ অর্ন্তবর্তী বাজেটে প্রযুক্তিখাতে বড় ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কী ঘোষণা হতে পারে সেটা এখনও জানা যায়নি। তবে এই বাজেট থেকে প্রযুক্তিবিদদের কিছু প্রত্যাশা রয়েছে। সেগুলো কী?
এসটি টেলিমিডিয়া গ্লোবাল ডেটা সেন্টার (ভারত)-এর চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার বিমল খান্ডেলওয়াল বলেন, ‘ভারত ডিজিটাল রূপান্তরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আসন্ন বাজেটে তাই বিশ্বমানের ডেটা সেন্টার ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার ঘোষণা হতে পারে, যা এর অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। গার্হস্থ্য উৎপাদন এবং পরিকাঠামো তৈরির জন্য ভর্তুকির আশা করছি আমরা। আশা করছি ডেটা সেন্টারে শক্তির যোগান দিতে পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তি ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হবে’।
আরও পড়ুন: iPhone না কিনতে পারার আফসোস! অ্যান্ড্রয়েডের ফিচার জানলে অবাক হবেন
আর্থিক ক্ষেত্রকে প্রযুক্তির সঙ্গে নিবিড়ভাবে জোড়ার উপর জোর দিয়েছেন মোবিউইকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও বিপিন প্রীত সিং। তাঁর কথায়, ‘ফিনটেক কোম্পানি এবং পাবলিক প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে যোগসূত্র গড়ে তোলা উচিত। ফিনটেক ইকোসিস্টেমের বৃদ্ধির জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমার আশা অর্ন্তবর্তী বাজেটে এমন ভর্তুকি ঘোষণা করা হবে যাতে ফিনটেকগুলি ব্যাঙ্কিংয়ের অন্যান্য দিক যেমন ক্রেডিট, বিনিয়োগ, সঞ্চয় ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলিতে নতুন উদ্ভাবনের জন্য উৎসাহ পাবে’।
ইন্ডিয়া অ্যান্ড এপিএসি, এইচএমডি গ্লোবালের ভাইস প্রেসিডেন্ট রবি কুনওয়ার বলেন, ‘এইচএমডি গ্লোবালের ভারতের স্মার্টফোন বাজারের জন্য ব্যাপক প্রত্যাশা রয়েছে বাজেট থেকে। স্থানীয় উৎপাদনকে শক্তিশালী এবং দেশীয় উৎপাদন সরবরাহ চেনকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য কোনও পদক্ষেপ করা হবে বলে আশা করছি। স্থানীয় উৎপাদনের জন্য ভর্তুকি, দেশেই উপাদান উৎপাদনে উৎসাহ এবং রফতানির উপর জোর দেওয়া উচিত’।