বর্তমান সময় যদি কেউ প্রযুক্তি সংস্থাগুলিতে কাজ করার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে হয়তো তিনি কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করার কথাই ভাববেন। কিন্তু এমন দিন শেষ হয়ে যাবে অচিরেই।
IBM-এর গ্লোবাল ম্যানেজিং পার্টনার, জেনারেটিভ AI, ম্যাথিউ ক্যান্ডি সংবাদ সংস্থার সঙ্গে আলোচনায় দাবি করেছেন যে, আগামী কয়েক বছরে প্রযুক্তি সংস্থাগুলিতে কাজ করার জন্য আর প্রযুক্তিগত ডিগ্রির প্রয়োজনই হবে না।
advertisement
আরও পড়ুন- খেয়াল করে দেখেছেন সুইচ অফ করার পরেও ফ্যান ঘোরে? ৯৯ শতাংশই এর আসল কারণ জানে না
তাঁর দাবি, এমন দিন আসতে চলেছে যখন, প্রযুক্তিবিদরা কোডিং সম্পর্কে না জেনেই নতুন পণ্য তৈরি করতে পারবেন। কারণ কাজটা আসলে করবে কৃত্রিম মেধা। এই মন্তব্যের পরই সারা বিশ্বে শুরু হয়েছে শোরগোল। সেটাই স্বাভাবিক। কারণ, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ প্রযুক্তি সংস্থার তরফে পাওয়া গিয়েছে এমন বিবৃতি।
শিল্প ক্ষেত্রে AI-এর প্রভাব সম্পর্কে কথা বলছিলেন ম্যাথিউ ক্যান্ডি। তাঁর দাবি কৃত্রিম মেধা নিত্যদিনের কাজগুলি সেরে ফেলে মানুষের জীবনযাত্রা সহজতর করে তুলবে; যাতে যেকোনও বড় কাজে লক্ষ্য স্থির রাখতে পারে মানুষ।
IBM-এর AI প্রধানের দাবি, প্রযুক্তিগত দক্ষতা আসলে পিছন থেকে কাজ করবে। কারণ যোগাযোগ, সৃজনশীলতা ইত্যাদির মতো কাজ যা একজন মানুষই করতে পারে, তার দিকে মানুষই নজর দেবে, আরও বেশি করে।
ম্যাথিউ বলেন, ডিজাইন-এর দুনিয়ায় অপ্টিমাইজেশনের জন্য AI-এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে শিল্পী এবং ডিজাইনাররা আগামী দিনে জোরাল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে চলেছেন, সেই প্রতিযোগিতা অবশ্যই প্রযুক্তির সঙ্গে।
ম্যাথিউ-র বক্তব্যে থেকে কিছু ইতিবাচক দিকে দেখা গেলেও AI-এর সাধারণ প্রভাব এবং ভবিষ্যত নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে, IBM-এর মতো সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই AI-এর শক্তি ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলে ফেলেছে। তার ফলে পরবর্তী কয়েক বছরে সরাসরি চাকরি হারানোর সমস্যায় পড়তে পারেন বড় অংশের মানুষ।
আরও পড়ুন- এক ধাক্কায় দশ হাজার টাকা কম! দারুণ ছাড়ে Samsung Galaxy S23 Plus, এখনই দেখে নিন
বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের অবশ্য ধারণা, AI-কে মানব সভ্যতার বিরুদ্ধে দাঁড় করানো যাবে না, এই বিষয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু কৃত্রিম মেধার অগ্রগতি মারাত্মক। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে কোনও বিষয়বস্তু তৈরি করে ফেলতে পারে সে।
এই পরিমাণ মেধার সঙ্গে পাল্লা দিতে গেলে সীমিত দক্ষতাসম্পন্ন মানুষকে সমস্যায় পড়তেই হবে। ফলে বোঝাই যায়, তাঁদের ভবিষ্যতের উপর একটা প্রশ্নচিহ্ন ঝুলে রয়েছে।
গত মাসে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট বলছে, Google-এর মতো টেক-জায়ান্ট যেটি প্রায় ৩০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে পারে। কারণটা আর কিছুই নয়, সংস্থা AI ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত।