আসলে ঠান্ডা গাড়ির উপরেও প্রভাব ফেলে। বিগড়ে যায় কলকবজা। তাই এই সময় গাড়িকে রাখতে হয় সাবধানে। তবে কয়েকটা জিনিস খেয়াল রাখলেই এই সব ঝামেলা থেকে মুক্তি মেলে। মেরামতির খরচও বেঁচে যায়।
গাড়ির আলো দেখভাল: গাড়ির আলো ঠিক আছে কি না সবসময় দেখা উচিত। শীতকালে সূর্য তাড়াতাড়ি অস্ত যায়। অর্থাৎ সূর্যের আলো কম। রাতে গাড়ির আলোর ব্যবহার হয় বেশি। তাই গাড়ির লাইট যেমন হেড লাইট, টেল লাইট, টার্ন ইন্ডিকেটর এবং রিভার্স হেডল্যাম্পগুলি ঠিকমতো কাজ করছে কি না দেখে রাখতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন- WhatsApp Web-এ এবার ডার্ক মোড এবং সাইডবার! নতুন ফিচার নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
ইঞ্জিন অয়েল রিফিল: অনেকেই দীর্ঘদিন একই ইঞ্জিন অয়েল বা কুল্যান্ট ব্যবহার করতে থাকেন। সময়ে সময়ে টপ আপ করেন বটে, কিন্তু পাল্টান না। শীতকালে ইঞ্জিন অয়েল রিফিল করা উচিত।
এই সময় ঠান্ডা আবহাওয়ার উপযুক্ত হালকা ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। আবহাওয়া অনুযায়ী সঠিক ইঞ্জিন অয়েল কোনটা? ইঞ্জিন অয়েল প্রস্তুতকারকদের ম্যানুয়ালেই এই বিষয়ে বিশদে লেখা থাকে।
ব্যাটারর স্বাস্থ্য পরীক্ষা: ঠান্ডা আবহাওয়ায় অপারেটিং করাটা গাড়ির ব্যাটারির কাছে বিশাল চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে গরমের তুলনায় ব্যাটারির কাজ কঠিন হয়ে যায়। শীতকালে লং ড্রাইভে বেরনোর আগে গাড়ির ব্যাটারি সঠিক কন্ডিশনে আছে কি না দেখে নিতে হবে।
উইন্ডশিল্ড এবং ওয়াইপার পরীক্ষা: উইন্ডশিল্ডে কোনও ফুটো বা জল বেরচ্ছে কি না পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় কুয়াশা জমে এই ধরনের ছিদ্র হামেশাই হয়। তাই উইন্ডশিল্ড নিখুঁত আছে কি না সেটাও দেখে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- লঞ্চের আগেই ফাঁস OnePlus 12R! কেমন হতে চলেছে নতুন ফোন, জানুন
ব্রেক এবং টায়ার পরীক্ষা: টায়ার গাড়িকে বয়ে নিয়ে যায়। এর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। টায়ারে বায়ুর চাপ নির্ধারিত সীমা পর্যন্ত রয়েছে কি না তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি টায়ারের থিকনেসও পরীক্ষা করা উচিত। এই ৫ জিনিস ঠিক থাকলে শীতেও গাড়ি চাঙ্গা থাকবে।