এটি প্রায়শই গাড়ির জন্য ঘোর সমস্যা সৃষ্টি করে এবং এর কার্যকারিতা প্রভাবিত করে তোলে। কেউ যদি একটি নতুন গাড়ি ক্রয় করে থাকেন এবং সেই গাড়িটি দীর্ঘ সময়ের জন্য ভাল রাখতে চান, তাহলে কয়েকটি টিপস মেনে চলা উচিত।
আরও পড়ুন- বড়দিনে ঘুরতে যাবেন? বিমানের টিকিট পেতে পারেন, জেনে নিন উপায়
advertisement
যাঁরা নতুন গাড়ি কিনছেন, তাঁদের জন্য রইল গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয় টিপস:
স্টেপ ১ – গাড়ির টায়ারের চাপ পরীক্ষা।
স্টেপ ২ – পর্যায়ক্রমে ইঞ্জিনের তেল পরিবর্তন।
স্টেপ ৩ – ব্যাটারির রক্ষণাবেক্ষণ।
স্টেপ ৪ – গাড়ির বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ অংশ পরিষ্কার।
স্টেপ ৫ – পর্যায়ক্রমে কেবিন এয়ার ফিল্টার প্রতিস্থাপন।
গাড়ির টায়ারের চাপ পরীক্ষা:
গাড়ির টায়ার হল গাড়ির প্রধান উপাদান। মজার বিষয় হল, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলির মধ্যে একটি হওয়া সত্ত্বেও, টায়ার কিন্তু গাড়ির সবচেয়ে অবহেলিত অংশগুলির মধ্যে একটি।
কিন্তু এই অবহেলার কারণে টায়ার তাড়াতাড়ি ছিঁড়ে যেতে পারে এবং টায়ারের আয়ুও কমে যেতে পারে। তাই টায়ারে বাতাস বা নাইট্রোজেনের প্রস্তাবিত পরিমাণ রাখা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় গ্যারেজ বা পেট্রোল পাম্পে এয়ার রিফিলিং মেশিন থাকলেও কেউ অনলাইনে একটি পোর্টেবল এয়ার পাম্প কিনতে পারেন এবং সেটিও ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুন- ফোনের বারোটা বাজিয়ে দেয় ম্যালওয়্যার! বুঝবেন কীভাবে? এই লক্ষণগুলি খেয়াল করুন
পর্যায়ক্রমে ইঞ্জিনের তেল পরিবর্তন:
একটি গাড়ি হল, একটি জটিল মেশিন। যেখানে একাধিক ছোট এবং বড় চলমান যন্ত্রাংশ থাকে। এই মেশিনগুলি যেন মসৃণ ভাবে চলতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য তেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পাওয়ারট্রেনের অভ্যন্তরে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলির মসৃণ কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে পর্যায়ক্রমে ইঞ্জিনের তেল পরিবর্তন করা হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে। সাধারণত প্রতি ১০,০০০-কিলোমিটার দৌড়ের পরে বা বছরে একবার ইঞ্জিনের তেলের প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়।
ব্যাটারির রক্ষণাবেক্ষণ:
ব্যাটারি গাড়ির আরও একটি মূল উপাদান, যা অনেক কিছুকে শক্তি দেয়। তাই গাড়ির ব্যাটারির যত্ন নিতে হবে। ব্যাটারি নিয়মিত পরিষ্কার করা হলে তার জীবনকাল দীর্ঘায়িত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি ব্যাটারি টার্মিনালগুলিকে মরিচামুক্ত এবং মসৃণ কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
গাড়ির পরিষ্কার:
ঘন ঘন গাড়ী ধোওয়ার জন্য অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন নেই। কেউ বাড়িতেই একটি মাইক্রোফাইবার কাপড় ব্যবহার করে গাড়ি পরিষ্কার রাখতে পারে। এছাড়াও একটি সাধারণ ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করে গাড়ির ভিতরের অংশটি পরিষ্কার রাখা সহজ।
যদিও বাহ্যিক পরিচ্ছন্নতা গাড়িটিকে চকচকে এবং সুদর্শন থাকতে সাহায্য করে। এটি গাড়ির রঙকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ভাল অবস্থায় রাখতেও সাহায্য করে। অন্যদিকে, গাড়ির ভিতরের অংশ পরিষ্কার রাখলে কেবিন হবে ধুলোময়লামুক্ত। যা স্বাস্থ্যকর তো বটেই, সেই সঙ্গে গ্রাহকের আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি করে।
কেবিন এয়ার ফিল্টার প্রতিস্থাপন:
একটি গাড়ির সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ফাংশনগুলির মধ্যে একটি হল এয়ার কন্ডিশনার সিস্টেম। একটি গাড়ির কেবিন এয়ার ফিল্টার কেবিনের অভ্যন্তরে পরিষ্কার বাতাসের প্রবাহ এবং সঠিক শীতলতা নিশ্চিত করে। ভারতীয় জলবায়ু গ্রীষ্মমন্ডলীয়।
যার অর্থ হল, এই দেশে ধুলো এবং আর্দ্রতার মাত্রা অত্যন্ত বেশি। এর জন্য গাড়ির কেবিন এয়ার ফিল্টার প্রতি ছয় মাস অন্তর পরিবর্তন করতে হতে পারে। তা নাহলে অন্তত পর্যায়ক্রমে পরিষ্কার করা উচিত।