eSIM হল সিম কার্ডের ডিজিটাল সংস্করণ। দূর থেকেই eSIM নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই সুবিধাটাকেই কাজে লাগাচ্ছে হ্যাকাররা। ফিজিক্যাল সিম কার্ডকে eSIM-এ রূপান্তর করে সেখান থেকে টাকা এবং তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে। সর্বস্বান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আজকের দিনে এটা সবাই জানে, একটা মোবাইল নম্বর থেকে যে কোনও ধরণের তথ্য বের করে নেওয়া যায়। এই কৌশল কাজে লাগিয়েই হানা দিচ্ছে হ্যাকাররা।
advertisement
আরও পড়ুন-Moto G 5G এবার একেবারে বাজেটে! ওয়্যারলেস চার্জিং, প্রিমিয়াম ডিজাইন-সহ থাকছে আরও নানা চমক
রিপোর্টে FACCT-কে উদ্ধৃত করা হয়েছে। এটি একটি রাশিয়ান সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম। ইসিমের সঙ্গে সম্পর্কিত নিরাপত্তা সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করেছে তারা। পাশাপাশি কিউআর কোড ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে eSIM সক্রিয় করা যায় এবং হ্যাকাররা এই কৌশল কাজে লাগিয়ে কীভাবে জালিয়াতি করছে, তারও বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে রিপোর্টে।
অনেকেই মনে করতে পারেন, জালিয়াতি রোধে টেলকোগুলো নিশ্চয়ই শক্তিশালী ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু হ্যাকাররা খুব ভাল করে জানে, ইউজারের প্রাথমিক তথ্যগুলো থেকেই প্রমাণীকরণ পদক্ষেপগুলো পরিস্কার বোঝা যায়। তাছাড়া টেলকোগুলিও তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যাকাউন্ট পরিবর্তন করে।
সুতরাং, হ্যাকারদের হাতে যদি ফোন নম্বর চলে যায় তাহলে কী হতে পারে? রাশিয়ান সংস্থা জানিয়েছে, প্রথমেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতানোর চেষ্টা করবে হ্যাকাররা। এরপর মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে। তবে আশার কথা হল, এখনও ভারতের অধিকাংশ মানুষ eSIM ব্যবহার করেন না। তবে নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে অ্যাপলের আইফোনে eSIM মডেল চালু রয়েছে। তাই এই ধরণের প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকা এবং তথ্য সুরক্ষিত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইউজারদের অবশ্যই টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু করা উচিত। হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচার এটাই সবচেয়ে কার্যকরী পথ।