ভারতে পুরনো গাড়ির বিশাল বাজার রয়েছে। প্রতিদিন বিপুল টাকার কেনাবেচা হয়। কিন্তু ৫৫ তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে পুরনো গাড়ির উপর ট্যাক্স ১২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৮ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ একধাক্কায় ট্যাক্স বাড়তে চলেছে ৬ শতাংশ। ফলে পুরনো গাড়ি কিনতেও এখন অনেক বেশি দাম দিতে হবে গ্রাহকদের।
আরও পড়ুন- সিভি কোন সময় পাঠালে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে? মেইল করার আগে শুনে নিন
advertisement
তবে একটা সুবিধা রয়েছে। যে সব কোম্পানি বা ডিলাররা পুরনো গাড়ি বিক্রি করেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই বাড়তি ট্যাক্স প্রযোজ্য হবে। ব্যক্তিগত ক্রেতাদের ক্ষেত্রে নয়। সহজ ভাষায় বললে, যদি কোনও ব্যক্তি রেজিস্টার্ড ডিলারের মাধ্যমে পুরনো গাড়ি বিক্রি করেন, তাহলে নয়া হারে জিএসটি লাগবে। আর যদি নিজেই সরাসরি খদ্দেরের কাছে বেচে দেন, তাহলে জিএসটির নয়া হার তাঁর ক্ষেত্রে লাগু হবে না।
একইভাবে যদি কেউ ডিলারের কাছ থেকে পুরনো গাড়ি কেনেন তাহলে তাঁকে ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হবে। কিন্তু কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে সরাসরি কিনলে ১২ শতাংশ হারে জিএসটি দিলেই হবে। এ ক্ষেত্রে নয়া হার তাঁর উপর প্রযোজ্য হবে না। তবে এই বাড়তি জিএসটি দিতে হবে লাভের মার্জিনের উপর। গাড়ির দাম ঠিক করার সময় এই বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে ক্রেতাদের।
পুরনো গাড়ি বিক্রির পাশাপাশি পুরনো ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল বা ইভি বিক্রিতেও এখন থেকে ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হবে। তবে নতুন ইভি কেনার সময় ৫ শতাংশ জিএসটি-ই থাকছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিএসটি হার বাড়ানোর ফলে পুরনো এবং নতুন গাড়ির দামের পার্থক্য কমে যাবে। এর প্রভাব পড়বে পুরনো গাড়ির বাজারে। পুরনো গাড়ির বিক্রিবাটা কমে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন- ডেটিং অ্যাপ-এ ঘোরাঘুরি করেন নাকি? সাবধান! ঘটতে পারে বড় বিপদ
সিএনজি চালিত পুরনো গাড়ি বেচাকেনার ক্ষেত্রেও এখন থেকে একই হারে জিএসটি প্রযোজ্য হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে পুরনো গাড়ি বিশেষ করে সেকেন্ড হ্যান্ড ইভির বাজার পড়তে পারে। কারণ বেশি দাম দিয়ে পুরনো গাড়ি কেনার বদলে নতুন গাড়ির দিকে দিকে ক্রেতাদের ঝোঁকার সম্ভাবনাই বেশি। এমনটা মনে করছেন অনেকেই।