বীরভূমের রামপুরহাটের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কামারপট্টি মোড়ের বাসিন্দা নিমাইচরণ মণ্ডলের সোনার গয়নার দোকান আছে। গত কয়েকদিন আগে তাঁর কাছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের রামপুরহাট শাখার প্রতিনিধির পরিচয় দিয়ে ফোন আসে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে। ফোনের মধ্যে থাকা ‘টু-কলার অ্যাপে’ ব্যাঙ্কের নামও দেখা যায়। আর সেটা দেখেই তিনি এটি ব্যাঙ্কের নম্বর বলেই বিশ্বাস করে বসেন। প্রতারিত সেই ব্যবসায়ী জানান, ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি পরিচয়ে এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করেছিল। ফোনে বলা হয়, আপনার জন্ম তারিখ ভুল রয়েছে। আপনাকে কেওয়াইসি আপডেট করাতে হবে। বাড়িতে বসেই অনলাইনে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। ব্যাঙ্কে আসার প্রয়োজন নেই।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
সেই মতন ওই ব্যবসায়ীর হোয়াটসঅ্যাপে ব্যাঙ্কের মতোই হুবহু কেওয়াইসি ফর্ম পাঠানো হয়। ফোনে তাঁর বাবার নাম, জন্ম তারিখ সহ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চায় ওই ব্যক্তি। এরপরই ফর্ম ফিলাপ এর নামে একের পর এক ওটিপি পাঠাতে থাকে। ব্যবসায়ী সেটা বলতে থাকেন। তাতেই ঘটে যায় বিপত্তি। এরপরই ফোনে ব্যাঙ্ক থেকে ২৫ হাজার টাকা কেটে নেওয়ার মেসেজ আসে। প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন বুঝতে পেরে তিনি দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে নিয়ে ব্যাঙ্কে আসেন।
আরও পড়ুন North 24 Parganas News: জেলার যাত্রীদের যোগাযোগ হবে আরও মসৃণ, বারাসাত থেকে শুরু নতুন বাস রুট
ব্যাঙ্ক এ গিয়ে তিনি জানতে পারেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে পাঁচবার ২৫ হাজার টাকা করে, একবার ন’ হাজার টাকা ও দু’বার ১৭ টাকা ৭০ পয়সা করে কেটে নেওয়া হয়েছে। তিনি বিষয়টি ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে জানান। ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে তাঁর অ্যাকাউন্টটি ‘ফ্রিজ’ করে দেওয়া হয়। পরে ওই প্রতারিত ব্যাক্তি রামপুরহাট সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। রামপুরহাট সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই টাকা কোন অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে, সেই তথ্য ব্যাঙ্কের কাছে চাওয়া হয়েছে। তবে, সাধারণ মানুষকেও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। এমন ভাবেই দিন দিন প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকেই।
সৌভিক রায়






