আজকাল বেশিরভাগ রেফ্রিজারেটরে অবশ্য তাপমাত্রা ঠিক করার বিকল্প থাকে। এতে ফ্রিজের সামগ্রিক কুলিং এফিশিয়েন্সিও উন্নত হয়। যদিও গরমের মরশুমে রেফ্রিজারেটরের সঠিক তাপমাত্রা বোঝাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি ডাবল ডোর অথবা সাইড-বাই-সাইড রেফ্রিজারেটর থাকে, তাহলে ব্যবহারকারীকে ফ্রিজ এবং ফ্রিজার সেকশনের সঠিক টেম্পারেচার সেটিংস জেনে নিতে হবে। এই প্রতিবেদনে রেফ্রিজারেটরের সঠিক তাপমাত্রা সম্পর্কে আলোচনা করে নেওয়া যাক। সেই সঙ্গে এর কুলিং এফিশিয়েন্সি বাড়ানোর কিছু টিপসও দেখে নেওয়া যাক।
advertisement
আরও পড়ুন- AC-র গ্যাস ফুরিয়েছে কি না বোঝা যায় ঘরে বসেই, সহজ উপায়! মেকানিক বোকা বানাতে পারবে না
গ্রীষ্মের মরশুমে ফ্রিজ এবং ফ্রিজারের আদর্শ তাপমাত্রা কত?
Samsung-এর একটি পোস্ট থেকে জানা যাচ্ছে যে, সারা বছর ফ্রিজের তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৩৭.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটে সেট করে রাখা উচিত। আবার অন্যদিকে ফ্রিজারের তাপমাত্রা -১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস কিংবা -২.২ ডিগ্রি ফারেনহাইটে সেট করে রাখা উচিত।
আবার ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে Voltas-এর পরামর্শ, ফ্রিজের তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সেট করে রাখা উচিত। এর পাশাপাশি ফ্রিজারের তাপমাত্রা রাখা উচিত -১৮ ডিগ্রি থেকে -২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
আরও পড়ুন- AC যে ঘরে আছে, সেখানে রাখুন ৩০০ টাকা দামের এই ছোট্ট ডিভাইস! অনেক খরচ বাঁচবে
ফ্রিজের কুলিং বাড়ানোর টিপস:
১. পাশের দেওয়ালের থেকে ফ্রিজ-ফ্রিজারের দূরত্ব হওয়া উচিত ৫ সেন্টিমিটার। আর রিয়ার ওয়াল থেকে এর দূরত্ব হতে হবে ১০ সেন্টিমিটার।
২. যেসব জায়গায় সরাসরি সূর্যালোক বা রোদ আসে, সেখানে ফ্রিজ-ফ্রিজার রাখা একেবারেই উচিত নয়
৩. সারা বছর ধরে ফ্রিজের তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে রাখা উচিত।
৪. মডেলের উপর ভিত্তি করে ফ্রিজারের তাপমাত্রা -১৯ ডিগ্রি অথবা -১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সেট করা উচিত।
৫. প্রচুর পরিমাণে খাবার টাটকা খাবারের জন্য পাওয়ার ফ্রিজ অথবা পাওয়ার কুল ফাংশন ব্যবহার করতে হবে।
৬. খাবার রাখার ২ ঘণ্টা আগে পাওয়ার ফাংশন চালাতে হবে। আর তা বন্ধ করে দিতে হবে ৫ ঘণ্টা পর।
৭. ফ্রিজারের ডোর অথবা টপ শেলফে আইসক্রিম, আইস ললি অথবা পাউরুটি স্টোর করা চলবে না।