কারা সামনে আনল
ওয়াশিংটন পোস্টের একটি ১৭ সদস্যের দলের পেগাসাস প্রজেক্ট নামক রিপোর্ট এ বিষয়ে সবিস্তারে তথ্য তুলে ধরেছে। তাদের সাহায্য করেছে প্যারিসের অলাভজনক সংস্থা ফরবিডেন স্টোরিজ। এই রিপোর্ট বলছে, পেগাসাস হলো এমন একটি স্পাইওয়্যার যা যে কোনও মুহূর্তে হানাদারি চালাতে পারে।
পেগাসাসের মুখ ও মুখোশ
ইজরায়েলের এনএসও গ্রুপ যারা নিজেদের সইবার ইন্টেলিজেন্সের ওয়ার্ল্ড লিডার বলে, পেগাসাস স্পাইওয়্যা তাদেরই মস্তিষ্কপ্রসূত। এই রিপোর্টে বলা হচ্ছে ৪০টি দেশের সাতটি সরকার এই সফটওয়্যার ব্যবহার করছে। এ সংস্থার প্রধান অফিস রয়েছে বুলগেরিয়ার সাইপ্রাসে। সংস্থার শেয়ার সবথেকে বেশি রয়েছে না নোভালপিনা ক্যাপিটল নামক লন্ডনের একটি প্রাইভেট ইকুউটি ফার্মের হাতে।
advertisement
কবে এল পেগাসাস
রিপোর্ট বলছে সারাবিশ্বে অন্তত ৫০ হাজার ফোনে স্পাইওয়্যার ইনজেক্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৩০০ ভারতীয়ও রয়েছেন। অন্তত পাঁচ বছর আগেই অর্থাৎ ২০১৬ সালেই উপস্থিতি টের পাওয়া যায়।
কী ভাবে হানাদারি
এক্ষেত্রে টার্গেট ডিভাইসটিতে কোনও একটি টেক্সট মেসেজ বা ইমেইল এর মাধ্যমে লিঙ্ক পাঠানো হয়। লিঙ্কটিতে ক্লিক করা মানেই স্পাইওয়্যারটি ডাউনলোড হয়ে যাবে এবং আপনার ফোনের তথ্য চালান হয়ে যেতে থাকবে আপনার অজান্তে। ফোনের সব নথিই ঘেঁটে দেখতে পারে স্পাইওয়্যার।
দেখা যায় গতিবিধিও
আপনার ফোন এর যাবতীয় ইমেইল ফটো ভিডিও চেক করা, আপনার কল রেকর্ড খতিয়ে দেখা এমনকি জিপিএস ট্র্যাক করে কোনও ব্যক্তি কোথায় কোথায় যাচ্ছেন তাও দেখা সম্ভব হয়।
হোয়াটস অ্যাপ কি আদৌ সুরক্ষিত
আমরা সকলেই জানি হোয়াটসঅ্যাপ এন্ড টু এনড এনক্রিপটেড। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় স্পাইওয়্যার এর বিরুদ্ধে এই এনক্রিপশন কাজ করতে পারে না। যে কোনও হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ এই স্পাইওয়্যারের দৌলতে কোনও তৃতীয় ব্যক্তির কাছে পৌঁছাতে পারে।
ভোলবদল করছে পেগাসাস
বিশেষজ্ঞরা বলছেন পেগাসাসকে চিহ্নিত করা মুশকিল। অজানা জ্বরের মতো ফোনের শরীরে ঢুকে পড়ে। আধুনিকতম ডিভাইস প্রটেকশন ব্যবস্থার ফাঁক গলে সেঁধিয়ে যায় এই ম্যালওয়ার। গার্ডিয়ানের রিপোর্ট অনুযায়ী এখন পেগাসাস ফোনের টেম্পোরারি মেমোরিতে হানা দেয়।