একটি ‘ইমার্জেন্সি অ্যাপ’ ব্যবহার করলে যে কোনও সময় যে কোনও বিপদে পাওয়া যেতে পারে সাহায্য। একটি বোতামেই পরিবারের সদস্যদের কাছে পৌঁছে যেতে পারে দুর্ঘটনাস্থলের ঠিকানা। অবিলম্বে ডাউনলোড করে নিয়ে হবে এই অ্যাপটি।
আরও পড়ুন- রঙের ভয়ে বাইক নিয়ে বেরোবেন না! জেনে নিন, কী করলে গাড়িতে রঙ ধরবে না
advertisement
প্রবাদ বলে, বিপদ কখনও বলে কয়ে আসে না। তাই এমন পরিস্থিতি হতে পারে ভেবে নিয়ে আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। আজকাল বেশিরভাগ মানুষই সব সময় স্মার্টফোন সঙ্গে রাখেন। এই স্মার্টফোনই হতে পারে ত্রাতা।
তবে তার জন্য ফোনে অবশ্যই কিছু অ্যাপ থাকা প্রয়োজন। এই সব অ্যাপ ‘লোকেশন শেয়ারিং’ থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজনকে বিপদ বার্তা পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত অনেক কিছুই করতে পারে। দেখে নেওয়া যাক এক নজরে—
bSafe:
আপৎকালীন অবস্থায় iOS এবং Android-এর জন্য এটি বেশ ভাল অ্যাপ। এর ইউজার ইন্টারফেস বেশ সহজ। এতে আছে ভয়েস কমান্ড। SOS বোতাম টিপে ‘ইমার্জেন্সি কন্ট্যাক্ট’গুলিতে এসএমএস পাঠানো যেতে পারে। পৌঁছে যাবে দুর্ঘটনাস্থলের অবস্থানও। শুধু তাই নয়, এটি ফোনের ক্যামেরা এবং মাইকও চালু করে দিতে পারে। ফলে SOS বোতাম টিপলেই অডিও এবং ভিডিও রেকর্ডিং শুরু হয়।
Walk Safe:
এই অ্যাপটি যে কোনও শহরের ‘হাই ক্রাইম জোন’ চিহ্নিত করতে পারে। ফলে সেখান থেকে নিরাপদ দূরত্ব রাখা সম্ভব। এটি কোনও শহরের পুলিশি তথ্যের উপর ভিত্তি করে কাজ করে। এটিও iOS এবং Android—উভয় ডিভাইসেই কাজ করতে পারে।
আরও পড়ুন- দোলে রং খেলার সময়ে মোবাইল কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন, জানুন এই সহজ টিপসগুলি
অ্যাপটি ব্যবহারকারীর অবস্থানের উপর লক্ষ্য রেখে সংবেদনশীল স্থান চিহ্নিত করে সতর্ক করে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার উপায় হিসেবে মানচিত্রও প্রদর্শন করে। SOS বোতামও রয়েছে। যাতে, বিপদে ঘটে গেলে তাৎক্ষণিক ভাবে বার্তা পাঠানো যায়।
Red Panic Button:
জরুরি অবস্থায় ব্যবহার করার জন্য একটি ভাল অ্যাপ। এই অ্যাপের ইন্টারফেসে একটি প্যানিক বোতাম রয়েছে। এটি ব্যবহার করে এসএমএস এবং ই-মেইলের মাধ্যমে নিজের পরিচিতিদের কাছে SOS বার্তা পাঠানো যায়। এটি টুইটারের সঙ্গেও লিঙ্ক করা যেতে পারে।