পরিচয়ের প্রমাণপত্র, ঠিকানার প্রমাণপত্র এবং বয়সের প্রমাণপত্রের জন্য ১১ ধরনের আইডি নথি রয়েছে। জন্ম শংসাপত্র, স্কুল শংসাপত্র ইত্যাদি বয়সের প্রামাণ্য নথি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
আইডি-র প্রামাণ্য নথি হিসেবে ব্যবহার করা যায় ভোটার আইডি বা আধার কার্ড। ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে ইউটিলিটি বিল দেওয়া যায়। এর সঙ্গে রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের দেওয়া মেডিক্যাল ফিটনেস সার্টিফিকেটও লাগে।
advertisement
আরও পড়ুন- হাসি হোক বা কান্না, WhatsApp-এ রিপ্লাই করা এবার হবে আরও মজাদার! জানুন নতুন ফিচ
বুধবার রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এখন থেকে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, তফসিলি জাতি বা তফসিলি উপজাতি শংসাপত্র, ব্যাঙ্কের পাসবই কিংবা ট্রেড লাইসেন্স, কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আই কার্ড বা সার্ভিস সার্টিফিকেট, রাজ্য, কেন্দ্র বা রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থার পিপিও, ল্যান্ডলাইন টেলিফোন কিংবা পোস্টপেইড মোবাইল কিংবা জল কিংবা বিদ্যুৎ বিল, পার্সপোর্ট এবং সম্পত্তি করের নথি দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যাবে। এছাড়া স্বাধীনতা সংগ্রামীরা সরকারি শংসাপত্র জমা দিয়েও ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন।
পশ্চিমবঙ্গে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হয়। প্রথমে সড়ক পরিবহণ এবং মহাসড়ক মন্ত্রকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট parivahan.gov.in খুলতে হবে। সেখানে দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করে সরাসরি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে পারেন আবেদনকারী।
কলকাতায় সাধারণত দু’ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়। লার্নার্স পারমিট এবং পার্মানেন্ট লাইসেন্স। ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার আগে লার্নার্স পারমিট নিতে হয়। এরপর পার্মানেন্ট লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হয়। লার্নার্স পারমিট ৬ মাস পর্যন্ত বৈধ থাকে। এরপর আরটিও-তে ড্রাইভিং পরীক্ষা দিয়ে পার্মানেন্ট লাইসেন্স পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন- গাড়ি চালানোর সময় হাতে মোবাইল ফোন রাখা যায়? ট্রাফিক আইন জেনে নিন
কলকাতায় গিয়ারড টু হুইলার এবং এলএমভি-র ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৮ বছর। গিয়ারলেস টু হুইলারে ১৬ বছর বা তার বেশি এবং বাণিজ্যিক যানবাহনের জন্য বয়স ২০ বছর বা তার বেশি হতে হবে।