কিন্তু আপনি কি জানেন, আপনার স্মার্টওয়াচ হ্যাক হতে পারে? এমন নয় যে সস্তা স্মার্টওয়াচগুলিতেই শুধুমাত্র এই ঝুঁকি রয়েছে। দামি ঘড়িতেও সমান বিপদ। হ্যাকাররা আপনার স্মার্টওয়াচের নিয়ন্ত্রণ পেতে ব্লুটুথ, ম্যালওয়্যার এবং ফিশিং অ্যাটাক করতে পারে।
ব্লুটুথ স্মার্টওয়াচ অপারেট করার জন্য একটি বিশেষ ধরনের ব্লুটুথ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, যার নাম ব্লুটুথ লো এনার্জি (BLE)। BLE নিয়মিত ব্লুটুথের চেয়ে বেশি এনার্জি সাশ্রয়ী। BLE ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য ছোট চ্যানেল ব্যবহার করে।
advertisement
আরও পড়ুন- দারুণ সস্তায় ভারতে আসছে Realme C67!
ব্লুটুথ স্মার্টওয়াচ ব্লুটুথ লো এনার্জি (BLE) নামে একটি প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনার স্মার্টফোনের সাথে সংযোগ করে কাজ করে। এটি নিয়মিত ব্লুটুথ হিসাবে একই ব্যান্ড ব্যবহার করে, তবে ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে।
নিয়মিত ব্লুটুথ এবং BLE এর মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল, এটি তুলনায় কম এনার্জি ব্যবহার করে। স্মার্টওয়াচ এবং স্মার্টফোনের মধ্যে ডেটা বিনিময় GATT (জেনেরিক অ্যাট্রিবিউট প্রোফাইল) এর মাধ্যমে হয়।
GATT হল একটি প্রোটোকল যা BLE ডিভাইসের মধ্যে ডেটা বিনিময় নিয়ন্ত্রণ করে। স্মার্টওয়াচগুলি অ্যাপ কেন্দ্রিক ডিভাইস। এর মানে, স্মার্টওয়াচের সমস্ত ফাংশন অ্যাপ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। যদি হ্যাকার কোনও স্মার্টওয়াচে নির্দিষ্ট অ্যাপ ইনস্টল করাতে সক্ষম হয়, তা হলে সেই স্মার্টওয়াচের সমস্ত ডেটা এবং ফাংশন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
আরও পড়ুন- ভিডিও কলের সময়েও বন্ধুদের সঙ্গে গান শেয়ার, নতুন ফিচার আনছে Whatsapp
সম্ভব হলে আপনার স্মার্টওয়াচ পিন দিয়ে সুরক্ষিত রাখুন। অচেনা ব্যক্তিকে আপনার স্মার্টওয়াচ অ্যাক্সেস করতে দেবেন না৷ ঘড়িটিকে পাবলিক ওয়াইফাইয়ের সাথে সংযুক্ত করবেন না। পাবলিক ওয়াইফাই প্রায়শই নিরাপদ নয়। আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F