এই সব কারণে এই বছর দীপাবলিতে দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় কোনও ভাবে বাজি ফাটানো যাবে না বলে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সারা দেশেই সবুজ বাজি ফাটানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে দিল্লিতে কোনও রকম বাজিই ফাটানো যাবে না। এবিষয়ে অনুমতি দেয়নি সরকার। তবে অতি উৎসাহী কোনও নাগরিক যদি বাজি ফাটানোর চেষ্টা করেন তিনি ব্যবহার করতে পারেন, বৈদ্যুতীন বাজি।
advertisement
আসলে দীপাবলিতে বাজি ফাটানোর ঐতিহ্য বহু বছরের। অনেকেই এই সময় বাজি না ফাটানোর ফরমানে খুশি হননি। তাই প্রথা মেনে যদি কেউ বাজি ফাটাতে চান, তাঁরা বৈদ্যুতীন বাজির কথা অবশ্যই ভাবতে পারেন। এতে বায়ু দূষণের আশঙ্কা নেই।
সারা দেশে যেসমস্ত এলাকায় আতশবাজি ফাটানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, সেখানেই এই ধরনের ‘ইলেকট্রনিক পটকা’ বিক্রি করেন কোনও কোনও সংস্থা।
কিন্তু কী এই বৈদ্যুতীন বাজি!
আসলে এগুলি এক ধরনের স্মার্ট ডিভাইস, যা একেবারে আতশবাজির মতোই আলো ও শব্দ উৎপন্ন করে। এই স্মার্ট ডিভাইসগুলি রিমোটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এক একটি ডিভাইস এক এক ধরনের বাজির মতো শব্দ তৈরি করতে পারে। এই বৈদ্যুতীন আতশবাজি খুবই নিরাপদ এবং ব্যবহার করাও খুব সহজ। সব থেকে বড় বিষয় হল এগুলি অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়ী। একটি ডিভাইস একাধিক বছর ব্যবহার করা যেতে পারে।
কীভাবে আলো হবে—
এই ডিভাইসগুলি বৈদ্যুতীন তারের সঙ্গে যুক্ত ছোট ছোট পড থাকে। সেখানে এলইডি আলো যুক্ত করা থাকে। এই বৈদ্যুতীন আতশবাজি প্লাগ ইন করলেই পডের ভিতরে উচ্চ-ভোল্টেজ জেনারেটর স্পার্ক তৈরি করে। তাও এলোমেলো ভাবে। সঙ্গে শব্দ হয়।
শব্দ এবং আলো তৈরির ফলে মনে হয় যেন সেগুলি আসল আতশবাজি। রিমোটের মাধ্যমেও এই বাজি ফাটানো যেতে পারে। তবে এটা ঠিক যে একেবারে আসল আতশবাজির মতো অভিজ্ঞতা তৈরি হবে না।
অনলাইন সাইট বা যেকোনও বাজারে আজকাল এগুলি কিনতে পাওয়া যায়। দাম প্রায় দু’আড়াই হাজার টাকা।