কিন্তু তাই বলে, একেবারে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ঝাড়া-হাত পা! তেমন কাণ্ডও ঘটাচ্ছেন আজকের পৃথিবীর মানুষ। নিউ-ইয়র্কের বাসিন্দা এক ব্যক্তি সম্প্রতি Amazon-এর চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন শুধু অফিসে গিয়ে কাজ করতে হবে বলে।
আর পড়ুন- চুমুক দিলেই কমবে তলপেটের মেদ! সকালে ঠিক ‘এই’ ভাবে পান করুন ‘ম্যাজিক ওয়াটার’, রোগা হবেন ৭ দিনে
advertisement
২০২০ সালের পর থেকে সারা বিশ্বে বাড়ি থেকে কাজ বা ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু হয়েছে। তাতেই গত ২-৩ বছর অভ্যস্ত ছিলেন সকলে। সমস্যা হল অতিমারী পর্ব পেরিয়ে যাওয়ার পর। অনেক সংস্থাই কর্মীদের অফিসে ডাকতে শুরু করলেন। কিন্তু কর্মীরা গড়রাজি। আসলে দেখা গিয়েছে, বাড়ি থেকে কাজ করার ফলে কর্মীদের যাতায়াতের খরচ এবং সময় বাঁচছে অনেকখানি।
শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, বাড়ি থেকে কাজ করায় সংস্থাগুলির লাভের পরিমাণও বেড়েছে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে, যে সব সংস্থা তাদের কাজের নীতিতে নমনীয়, তাদের আয় বৃদ্ধির হার তুলনামূলক ভাবে বেশি।
আর পড়ুন- পুরুষরা সাবধান! ‘এই’ ৫ অভ্যাস আজই না ছাড়লে ‘সর্বনাশ’ তো হবেই, মাশুল গুনতে হবে সারাজীবন ধরে
কিন্তু সত্যি কি এভাবে কাজ করা যায়!
এবিষয়ে বিতর্ক চলতেই পারে। বাস্তব এটাই যে, এই ভাবে কাজ করিয়ে সংস্থাগুলি প্রতিযোগিতায় খানিকটা এগিয়ে গিয়েছে।
এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এই সমীক্ষা তিন বছর ধরে চালানো হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, যে সব সংস্থা বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দিয়েছে, তাদের আয় বৃদ্ধি হয়েছে অন্যদের তুলনায় অন্তত চারগুণ দ্রুত।
প্রায় ৫৫৪টি বেসরকারি সংস্থার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়েছে, নরম মনোভাবাপন্ন সংস্থাগুলি ২০২০-২২ সালের মধ্যে প্রায় ২১ শতাংশ বিক্রি বাড়িয়েছে। অন্য দিকে, যে সমস্ত সংস্থা হাইব্রিড বা সম্পূর্ণ অফিসে গিয়ে কাজ করানোর চেষ্টা করেছে, এই সময়কালে তারা মাত্র ৫ শতাংশ আয় বৃদ্ধি করতে পেরেছে।
Scoop Technologies Inc এবং Boston Consulting Group-এর এই সমীক্ষা চালিয়েছিল যৌথ ভাবে। বিমা থেকে প্রযুক্তি— প্রায় ২০টি ক্ষেত্রের বিভিন্ন সংস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। আর এই রিপোর্টের বাস্তবতা প্রমাণ করে ওই Amazon কর্মীর চাকরি ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা। অফিস তাঁকে বাড়ি থেকে কাজের অনুমতি না দেওয়ায় চাকরিই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। এমনকী প্রায় দেড় কোটি টাকার বিনিয়োগও নষ্ট করেছেন। তাঁর দাবি, স্ত্রীর সঙ্গে তিনি ‘স্বপ্নের বাড়ি’ তৈরি করেছেন। সেই বাড়ি ছেড়ে সারা দেশে ঘুরে ঘুরে কাজ করার মধ্যে কোনও আনন্দ নেই। আপাতত তিনি আরও এক প্রাক্তন Amazon কর্মীর সঙ্গে মিলে স্টার্ট-আপ শুরু করেছেন।