অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন বা ট্যাব কেমন পারফর্ম করছে, তার মূল্যায়ন পদ্ধতি হল ‘আন তু তু বেঞ্চমার্ক’। ফোন কত দ্রুত কাজ করছে এবং কত মেমোরি অবশিষ্ট আছে, তা পরিমাপ করে ‘আন তু তু এমইএম স্কোর’।
আরও পড়ুন: কেন Error 404 আসে? এই নম্বরের নেপথ্যে রহস্য কী জানেন? ৯৯ শতাংশ মানুষই কিন্তু ডাহা ফেল!
advertisement
মোট পয়েন্ট সংখ্যা: অন্যান্য বেঞ্চমার্কিং সফটওয়্যারের মতো আন তু তু বেঞ্চমার্কও ডিভাইসের সামগ্রিক পরীক্ষার পর স্কোর এবং ফলাফল – দুটোই দেয়। পৃথক ক্ষেত্রের স্কোরগুলি এক জায়গায় এনে সামগ্রিক ফলাফল জানানো হয়।
প্রসেসরের দক্ষতা: চূড়ান্ত স্কোরের প্রথম উপাদান হল সিপিইউ স্কোর। সিপিইউ গাণিতিক অপারেশনের ফলাফল। সিপিইউ কমন অ্যালগরিদম এবং সিপিইউ মাল্টি কোর মিলিয়ে সিপিইউ স্কোর নির্ধারণ করা হয়।
সিপিইউ স্কোর হল, ইউজারের কম্যান্ডে ফোন কত দ্রুত সাড়া দেয় তার পরিমাপ। ডিভাইসের সেন্ট্রাল প্রসেসর ইউনিট বা সিপিইউ বেশিরভাগ গণনার কাজ করে। প্রোগ্রামগুলিকে দ্রুত চালানোর জন্য সিপিইউ-কে শক্তিশালী হতে হবে। তবেই ডিভাইস দ্রুত কাজ করবে।
জিপিইউ রেটিং: চূড়ান্ত স্কোরের দ্বিতীয় উপাদান হল জিপিইউ স্কোর। এই স্কোর হার্ডওয়্যারের কর্মক্ষমতার উপর নির্ভর করে ওপেনজিএল এবং ভলক্যান-এর মতো গ্রাফিক উপাদানগুলির আউটপুট দিয়ে তৈরি হয়। ফোনের ২ডি এবং ৩ডি গ্রাফিক্স কতটা ভাল, তা জিপিইউ রেটিং থেকে বোঝা যায়।
এমইএম মূল্যায়ন: এমইএম স্কোর হল সামগ্রিক স্কোরের তৃতীয় উপাদান। RAM অ্যাক্সেসের ফলাফল, ROM APP IO, ROM ক্রমিক রিড অ্যান্ড রাইট এবং ROM র্যান্ডম অ্যাক্সেস – সবই MEM স্কোরে অন্তর্ভুক্ত। আন তু তু এমইএম স্কোর দেখায় যে ফোন কত দ্রুত কাজ করছে এবং কতটা মেমোরি অবশিষ্ট রয়েছে।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ‘আন তু তু’ চালানোর পদ্ধতি: টেস্ট পেজে গিয়ে টেস্ট টু রান সিলেক্ট করতে হবে। সেখানে ঢুকে ক্লিক করতে স্টার্ট অপশনে। তাহলেই আন তু তু চালু হয়ে যাবে। পরীক্ষা হয়ে গেলে স্কোর চলে আসবে স্ক্রিনে।