আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তা বুঝিয়ে দিয়েছে বেশ কিছু ঘটনা। তবে বিজ্ঞান বা প্রযুক্তির উন্নতি তো আদতে মানুষের ভালর জন্য। সেকথা ভুলে গেলে চলবে না। তাই আগামী দিনে কৃত্রিম মেধা বা AI-কে কাজে লাগাতে হবে মানুষেরই কল্যাণে, এমন দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। লেখক, অধ্যাপক বা সংবাদিকদের কাজই হল লেখালিখি করা, নিরন্তর জ্ঞান ও তথ্যের সাধনা।
advertisement
কিন্তু অনেক সময়ই লেখকদের মধ্যে একটা সমস্যা তৈরি হয়, হঠাৎ চারদিক শূন্য হয়ে যায়, লেখার মতো একটি শব্দও যেন মাথায় আসে না। একে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ‘রাইটার্স ব্লক’। এটি কোনও অসুস্থতা নয়। তবে খানিকটা সমস্যাজনক তো বটেই। AI ব্যবহার করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে সহজেই।
আরও পড়ুন: মোবাইল নম্বর আধারের সঙ্গে রেজিস্টার করা নেই! তাও ঝামেলা ছাড়াই করা যাবে এই ৮ কাজ
হঠাৎ মাথা ফাঁকা হয়ে গেলে কী ভাবে হাত পাতা যাবে কৃত্রিম মেধার কাছে! দেখে নেওয়া যাক—
পরিকল্পনা তৈরি—
ChatGPT-র মতো বট ব্যবহার করে লেখকরা নতুন নতুন ধারনা বা পরিকল্পনা তৈরি করতে পারেন। বিশেষত যাঁরা ‘রাইটার্স ব্লক’-এ আক্রান্ত হয়েছেন। কৃত্রিম মেধার কাছ থেকে পরামর্শ পাওয়া যেতে পারে। সামান্য ধাক্কা লাগলেই আবার কাজ করতে শুরু করতে পারে মানব-মস্তিষ্ক। সেই ধাক্কা দেওয়ার কাজটাই করে দিতে পারে যন্ত্র-মগজ।
বিষয়বস্তুর ধারণা—
চ্যাটবটগুলি সত্যিই ‘বুদ্ধিমান’। কোনও লেখক যদি খানিকটা লিখে খেই হারিয়ে ফেলেন, বা বিষয়বস্তু কোন দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন, সেবিষয়ে ভাবতে না পারেন, তাহলে কৃত্রিম মেধার সাহায্য নেওয়া যায়। নিজের লেখার খানিকটা অংশ বট-এ তুলে দিয়ে তাকেই জিজ্ঞাসা করা যায়, পরবর্তী অংশ কেমন হবে। কোনও বিষয় আরও ব্যাখ্যা করার দাবি জানানোও যায়। বট যতই ‘উল্টো-পাল্টা’ বলুক না কেন, মানুষের মাথা তাকে সাজিয়ে নেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
সম্পাদনা—
প্রুফ রিডিং বা সম্পাদনার ক্ষেত্রে ChatGPT ভাল কাজ করতে পারে। ব্যাকরণগত ভুল শুধরে নেওয়ার জন্য মানুষ তার সাহায্য নিতেই পারে। লেখার সময় কোনও ভুল হয়ে থাকলেও তা শুধরে দিতে পারবে AI। না, বাংলা লেখায় এখনই ততটা ভরসা করা যাবে না। সাবধান!
চরিত্র ও প্লট নির্মাণ—
যাঁরা গল্প লেখেন, তাঁদের জন্য ChatGPT ভাল সহায়ক হতে পারে। কোনও চরিত্র সম্পর্কে জানালে তার পরবর্তী ভাব, তার প্রেক্ষাপট সম্পর্কেও ধারণা তৈরি করে দিতে পারে AI। তবে হ্যাঁ, সেই প্রেক্ষাপটকে নিজের মতো সাজিয়ে নিতে হবে বৈকী!
গবেষণা সহায়ক—
এই অংশে সব থেকে বেশি কাজে আসতে পারে AI। যেকোনও তথ্য খুব সহজে খুঁজে এনে দিতে পারবে সে। তবে এক্ষেত্রেও সেই সমস্যা, খুব গভীর জ্ঞানের প্রত্যাশা না রাখাই ভাল।