যদি বাইকের কোনো অংশ খারাপ হয়ে যায় তা হলে বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সময় মতো সেই পার্ট পাল্টে নেওয়াই ভাল। টু-হুইলারের সব থেকে বড় শত্রু খারাপ টায়ার। বাইকারদের বড়সড় ক্ষতি করতে পারে খারাপ টায়ার। তাই সব সময় বাইকের টায়ারের অবস্থার দিকে খেয়াল রাখুন।
গত কয়েক বছরে জাতীয় সড়কের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে অলিগলির রাস্তা বেশ খারাপ। জাতীয় সড়ক হোক বা রাজ্য সড়ক, যানবাহনের সংখ্যা এখন অনেক বেশি। ফলে দুর্ঘটনার সংখ্যাও দ্রুত বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাইকের টায়ার পিছলে যাওয়ার ঘটনাও বেড়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- AI-এর ২০২৩ সাল! এই পাঁচটি চ্যাটবট আলোড়ন তুলল ইতিহাসে! জানুন
খারাপ টায়ারের কারণে হঠাৎ ব্রেক কষলে বাইক স্কিড করতে পারে। মহাসড়কে এই ধরনের ঘটনা প্রাণঘাতী হতে পারে। দ্রুতগামী বাইক পিছলে বড় যানবাহনের নিচে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে অনেক।
আপনি যদি জীর্ণ টায়ার নিয়ে বাইক চালান, তবে এখনই সতর্ক হোন। নিয়ম অনুযায়ী, টায়ারের অবস্থা খারাপ হলে থ্রেড নষ্ট হয়। ফলে টায়ারের রোড গ্রিপ কমে যায়।
বৃষ্টি ভেজা রাস্তায় এই ধরনের টায়ার আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে। বাইক পিছলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সব সময় টায়ারের দিকে খেয়াল রাখতে হয়। বিশেষ করে বাইক পুরনো হলে।
টায়ারের দুই পাশে মোটা অক্ষরে কোড লেখা আছে। এটি দেখার পরে মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ চেক করা যেতে পারে। ওজন উত্তোলন ক্ষমতা, টায়ারের প্রস্থ ও দৈর্ঘ্য এবং সর্বোচ্চ গতি লেখা থাকে। যদি একটি টায়ার নষ্ট হয়ে যায়, আপনি নম্বরটি দেখে সেটি পাল্টাতে পারেন।
আরও পড়ুন- মাত্র ৩ লক্ষ টাকায় BMW! আট সেকেন্ডে ১০০ কিমি/প্রতি ঘণ্টা গতি তোলে এই বাইক
প্রশ্ন হল কখন টায়ার পরিবর্তন করতে হবে? ২৫-৩০ হাজার কিলোমিটার চলার পর নতুন টায়ার লাগানো উচিত। নতুন টায়ারের গ্রিপ ভাল হয়। ফলে পিছলে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। দুর্ঘটনা এড়াতে সময়মতো টায়ার বদলাতে হয়।